উন্নয়ন ও আইন শৃংখলা সভা বর্জন করলেন রাজাপুরের জনপ্রতিনিধি ও আ’লীগ নেতারা
কাজী খলিলুর রহমান, ঝালকাঠি প্রতিনিধি ।।
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার বিশেষ উন্নযন সমন্বয় ও আইন শৃংখলা সভায় ঝালকাঠি-১ আসনের সাংসদ বজলুল হক হারুন উপস্থিত থাকায় সভা বর্জন করেছেন রাজাপুর উপজেলার জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামীলীগ নেতারা।
রবিবার বেলা ১১ টায় উপজেলা পরিষদ ভবনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদের একজন ভাইস চেয়ারম্যানসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত ছিলেননা। তবে এ সভায় রাজাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মনিরউজ্জামান এবং মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান আফরোজা আক্তার লাইজু উপস্থিত ছিলেন। ৬ ইউপি চেয়ারম্যানের সভা বর্জনের কথা স্মীকার করে রাজাপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জিয়া হায়দার খান লিটন বলেন, এমপি সাহেব নির্বাচিত জনপ্রিতিনিধিদের পাশ কাটিয়ে তার নিজস্ব লোকদের মাধ্যমে উন্নয়ন কাজের বরাদ্দ দেন। তাই আমরা জনপ্রতিনিধিরা এমপি সাহেবেরে এই সভা বর্জন করেছি। শুক্তাগড় ইউপি চেয়ারম্যান বিউটি সিকদার বলেন, আমরা ৬ চেয়ারম্যান কেউই সভায় যাইনি। এমপি হিসেবে তিনি আমাদের অবিভাবক হলেও নৌকা মার্কার নির্বাচিত চেয়ারম্যানদের তিনি কোন খোজ খবর নেননা।
এ ব্যাপারে ফোনে এমপি বজলুল হক হারুনকে না পাওয়ায় তার একান্ত সহকারী গোলাম মোস্তফা কামালের কাছে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানদের কোন অভিযোগ থাকলে তারা সভায় এসে তা বলতে পারতেন। তিনি বলেন, উন্নয়ন বরাদ্দ জনপতিনিধি এবং আওয়ামীলীগের নেতাদের মধ্যে সমবন্টন করে দেয়া হয়। এখানে এমপির ভাই বা অন্য কেউ হস্তক্ষেপ করেনা। এমপি বজলুল হক হারুনের ভাই মুজিবুল হক কামাল বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানদের অভিযোগ সঠিক নয়। অনেক ইউনিয়নে চেয়ারম্যানরাই আওয়মী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক। তাই তাদের মাধ্যমেই উন্নয়ন বরাদ্দ দেয়া হয়।
উল্লেখ্য বর্তমানে রাজাপুর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের কমিটির পাশাপশি বজলুল হক হারুন সমর্থিতও বিকল্প কমিটি রয়েছে। উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের অভিযোগ, এমপির বরাদ্দের ক্ষেত্রে সেই কমিটির লোকজনই অগ্রাধিকার পান এবং নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যানরাও এক্ষেত্রে উপেক্ষিত হন।
আহসানুজ্জামান সোহেল/অননিউজ24।।