রাজধানীসহ দেশজুড়ে উদযাপিত হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব দোল পূর্ণিমা বা দোলযাত্রা। মঙ্গলবার (৭ মার্চ) এ উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন মন্দিরে পূজা, হোম যজ্ঞ, প্রসাদ বিতরণসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে দোল উৎসব ও কীর্তনের আয়োজন করা হয়েছে। দিনের প্রথম প্রহরে ঠাকুরের পায়ে আবির দিয়ে জগতের মঙ্গলকামনা করেন পুরোহিত। এ সময় উলুধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে মন্দির প্রাঙ্গণ।
শ্রী কৃষ্ণ ও রাধার স্মরণে হিন্দু ধর্মের অনুসারীরা সকাল থেকেই ভিড় জমান বিভিন্ন মন্দিরে। ধর্মীয় ঐতিহ্য অনুযায়ী পুরাণ অনুযায়ী বসন্তের এই পূর্ণিমায় বৃন্দাবনে রাধা-কৃষ্ণ পুষ্পরেণু ছড়িয়ে দোল উৎসব উৎযাপন করেছিলেন। সময়ের বিবর্তনে পুষ্পরেণুর জায়গা দখল করে নিয়েছে ‘আবির’। সেই রীতি অনুযায়ী, এই মতের বিশ্বাসীরা রাধা-কৃষ্ণের বিগ্রহের সামনে রাঙিয়ে তুলেন নিজেদের।
দোলযাত্রা হিন্দু বৈষ্ণবদের উৎসব। বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুযায়ী, এ দিন শ্রীকৃষ্ণ বৃন্দাবনে রাধিকা এবং তার সখীদের সঙ্গে আবির খেলেছিলেন। সেই ঘটনা থেকেই দোল খেলার উৎপত্তি। এ কারণে দোলযাত্রার দিন এ মতের বিশ্বাসীরা রাধা-কৃষ্ণের বিগ্রহ আবিরে রাঙিয়ে দোলায় চড়িয়ে নগর কীর্তনে বের হন। এ সময় তারা রং খেলার আনন্দে মেতে ওঠেন।
বিশ্বের অনেক স্থানে উৎসবটি শ্রীকৃষ্ণের দোলযাত্রা নামে অধিক পরিচিত হলেও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, মাদরাজ, উড়িষ্যা প্রভৃতি স্থানে দোল উৎসব এবং উত্তর, পশ্চিম ও মধ্য ভারত ও নেপালে ‘হোলি’ নামে পরিচিত। পুষ্পরেণু ছিটিয়ে রাধা-কৃষ্ণ দোল উৎসব করা হতো। সময়ের বিবর্তনে পুষ্পরেণুর জায়গায় এসেছে ‘আবির’। সারাদেশে সকাল থেকে শুরু হয়ে বিকেল পর্যন্ত এ উৎসব চলবে। হিন্দু সম্প্রদায় পরস্পরকে আবির মাখিয়ে এ উৎসব উদযাপন করছেন।
শান্ত/অননিউজ