আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স- এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে সেলিব্রেটি থেকে শুরু করে বিশ্বের খ্যাতিমান সব রাজনীতিবিদ এমনকি রাষ্ট্রপ্রধানদের নকল ভিডিও ছড়িয়ে পড়ছে অনলাইনে। বাদ পড়ছে না সাধারণ মানুষও। বাস্তবের খুব কাছাকাছি এসব ভিডিও দেখে আসল-নকল শনাক্ত রীতিমত কঠিন। তবে গবেষকরা এরইমধ্যে একই এআই ব্যবহার করে নকল ভিডিও শনাক্তের পন্থা বের করেছে। যার একটি হলো কনটেন্টের বৈধতার সাইন।
হলিউড তারকা টম ক্রুজ, ইউক্রেনের প্রেডিডেন্ট জেলোনস্কি কিংবা সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা- ভিডিও’র এসব মানুষরা ঠিক বাস্তবের মতো দেখতে মনে হলেও আসলে এরা সবাই নকল। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে এসব ভিডিও।
শুধু সেলিব্রেটি বা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বই নয়, সাধারণ মানুষের মুখছবি ব্যবহার করেও তৈরি হচ্ছে নানা ভিডিও। ইউটিউব থেকে শুরু করে ফেইসবুক, টুইটারসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রীতিমত ভাইরাল এসব ভিডিও। যদিও এর কোনোটাই সত্য নয়। এসব ছবি বা ভিডিও’র আসল- নকলের পার্থক্য করাও কঠিন। গবেষকরা বলছেন, এআইয়ের এসব ভিডিও সমাজে প্রতিশোধ পরায়নতা বাড়াছে। ভবিষতে এটি বড় অপরাধে পরিণত হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন তারা।
এ অবস্থায় নকল ছবি বা ভিডিও শনাক্তে উদ্যোগী গবেষকরা। আর এ ক্ষেত্রে এআইয়েরই শরণাপন্ন হয়েছেন তারা। এআইয়ের মাধ্যমে নকল ছবি শনাক্তে মাইক্রোসফট ও অ্যাডোভ যৌথভাবে তৈরি করছে কনটেন্ট ক্রেডেনশিয়াল সাইন।
এতে যেকোনো ছবি বা ভিডিও’র এক কোনায় কনটেন্ট ক্রেডেনশিয়াল সাইন যুক্ত থাকবে। যাতে ক্লিক করলে দেখা যাবে আসল ছবিটি। থাকবে- কে, কোথায়, কবে ছবিটি তুলেছেন তার বিস্তারিত তথ্য। দুই ছবির তুলনাও করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। আর যদি ভিডিওটি তৈরি সংক্রান্ত তথ্য না থাকে- তাও কনটেন্ট ক্রেডেনশিয়াল সাইনে দেখা যাবে।
এরইমধ্যে বিবিসি, নিউইয়র্ক টাইমস, ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল, ক্যানন, নিক্কন, টুইটারসহ বিশ্বের ২শ’র বেশি সংবাদ মাধ্যম ও প্রতিষ্ঠান এ প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্যোগ নিচ্ছে।
আশা করা হচ্ছে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বিশ্বের প্রায় সব ওয়েবসাইটে ছবি ও ভিডিও’র পাশে কনটেন্ট ক্রেডেনশিয়াল সাইন দেখা যাবে।
এফআর/অননিউজ
প্রধান সম্পাদক: হুমায়ুন কবির রনি
মোবাইল: ০১৭১৬-৫৩০৫১৪
ইমেইল: onnews24@gmail.com
www.onnews24.com