আগামী বছর মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা চাঁদের যে মিশন তৈরি করছে, দল ঘোষণা করেছে সংস্থাটি। আর্তেমিস-২ নামের এ চন্দ্রাভিযানে থাকবেন মোট চারজন নভোচারী। নাসা জানিয়েছে, এটি একটি ঐতিহাসিক মিশন হতে চলেছে। এই মিশনে প্রথম চাঁদে পা পড়বে কোনো নারীর। এছাড়া, এই প্রথম চাঁদে যাচ্ছেন কোনো কৃষ্ণাঙ্গ।
নাসার তিনজন মহাকাশযাত্রী এই মিশনে যোগ দেবেন। তারা প্রত্যেকেই আন্তর্জাতিক মহাকাশ গবেষণাগারে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। নারী হিসেবে সবচেয়ে বেশিদিন মহাকাশের গবেষণাগারে সময় কাটিয়েছেন চাঁদে পা দিতে যাওয়া নারী। চাঁদে পৌঁছে প্রথমে তার কক্ষপথ ঘুরে দেখবেন মহাকাশচারীরা। তারপর তারা চাঁদে পা দেবেন।
প্রায় ৫০ বছর পর আবারও চাঁদে মানুষের পা পড়তে চলেছে। এর আগে মঙ্গলে একাধিক অভিযান হলেও চাঁদে যাননি কোনো মানুষ। আগামী বছর নাসা চাঁদের যে মিশন তৈরি করছে, তার নাম দেওয়া হয়েছে আরটেমিস টু লুনার মিশন। এর ঠিক পরই আরও একটি চন্দ্রাভিযানের পরিকল্পনা আছে নাসার। সে বিষয়ে অবশ্য এখনো বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। মিশনের আগে একটি উড়ান চাঁদে পাঠিয়েছিল নাসা। ঠিক যেভাবে এই মহাকাশচারীরা মহাকাশযানে চড়ে চাঁদের কক্ষপথ প্রদক্ষিণ করবেন, ওই ছোট্ট উড়ানটিও ঠিক সে কাজই করে এসেছে। ২৫ দিন চাঁদের কক্ষপথে থাকার পর তা পৃথিবীতে ফিরে এসেছে। ওই সফল উড়ানের পরেই এদিন নাসা এই বিরাট খবর জানিয়েছে।
ফরহাদ/অননিউজ