একজন সফল উপজেলা প্রশাসকের বানী

মাহমুদুর রহমান(তুরান), ভাঙ্গা (ফরিদপুর ) প্রতিনিধি।।

একজন মানুষ মহৎ হয়ে ওঠেন তার কর্মগুণে। পৃথিবীতে এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা তাদের কর্ম, ধ্যান-জ্ঞান, অর্জন সবকিছু উৎসর্গ করেন দেশের স্বার্থে, মানুষের কল্যাণে। নিঃস্বার্থভাবে করেন মানুষের উপকার, দেশের কল্যাণে। তারা কর্তব্য কাজে ফাঁকি না দিয়ে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন। এমনই একজন হলেন দেশসেরা উপজেলা প্রশাসক, ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজিম উদ্দিন। ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আজিম উদ্দিন।

তিনি গত ২০২১ সালের ০৩ই মার্চ ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। প্রাথমিক শিক্ষার হালটা যখন তেলহীন প্রদীপের মতো নিভু নিভু অবস্থা। তখন এই কর্মবীর শৈল্পিক মানুষটি ভাঙ্গায় যোগদান করেই শিক্ষাকে সর্বজনীন, গুণগত ও মানসম্পন্ন করার উদ্দেশ্যে প্রাথমিক শিক্ষার ওপর কাজ শুরু করেন। কারণ তিনি বিশ্বাস করেন- প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকেই শিশুর মেধা বিকাশের বুনিয়াদ গঠন হয়।

তাই রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে কখনো বাঁশের সাঁকো বেয়ে, কখনো ক্ষেতের আলপথ দিয়ে হেঁটে, কখনো ইঞ্জিনচালিত নৌকায় করে তিনি ছুটে চলেন ভৌগোলিকভাবে অবস্থিত গ্রাম্য প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে। যেখানে আগে কখনো কোনো ইউএনওর পায়ের চিহ্ন পড়েনি। অভিভাবক, শিক্ষক এবং এলাকার গণ্যমান্য সচেতন ব্যক্তিরা এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশে যদি তার মতো আরো ১০০ জন এরকম নিবেদিতপ্রাণ, দেশপ্রেমিক, সৎ, কর্মবীর আজিম উদ্দিন থাকত তাহলে উন্নত জাতি গঠনের মূলভিত্তি প্রাথমিক শিক্ষার চিত্রটা পাল্টে যেত এ দেশে। চিরনবীন এই মানুষটি মন ও মননে সব সময় একজন সুচিন্তার মানুষ। শ্রদ্ধা রইল এই সাদামনের উচ্চশিক্ষিত, উদারমনা ও মুক্তচিন্তার মানুষটির জন্য।

তিনি ২০২১ সালে যখন ভাঙ্গা উপজেলার নির্বাহী অফিসারের দায়িত্ব নেন। তারপর থেকেই প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা যেমন দেশকে মাদক ও দূণীতিকে জিরো টলারেন্স করতে আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন । সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজিম উদ্দিন দুর্নীতি ও মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেছেন । নিজেকে দূণীতির উদ্ধে রেখে স্বজনপ্রীতি,দলীয়করনসহ অপরাধীদের বিরুদ্ধে রয়েছেন সোচ্চার ও কঠোর ।

ঘুষ এবং দূণীতিকে না বলে, তা থেকে নিজেকে রেখেছেন অনেক দুরে । ছোট ছোট ২টি শিশু সস্তান থাকার পরেও কখনও তিনি তার কর্তব্য থেকে এতটুকু বিচ্ছুতি হননি । অফিস এর কোন কাজ পেন্ডিং রাখেন না । নিজের সংসার সামলিয়ে নিয়মিত অফিস করেন তিনি । তিনি অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের আদর্শ । অফিসকে কখনও নিজের সংসারের মাঝে আনেন না । তিনি যেমন সদালাপী, মিষ্টভাষী কর্তব্যপরায়ন মমতাময়ী আদর্শবান এক বাবা, তেমনি অপরাধীদের জন্য আতংক ।

তিনি ভাঙ্গা উপজেলার দায়িত্ব নেওয়ার পর জমি আছে ঘর নাই প্রকল্পের আওতায় মানুষ ঘর তৈরী করে দিয়েছেন। এর মধ্যে রাস্তার মেরামত বরাদ্ধ প্রদান করা,শিল্পকলা একাডেমী সংস্কার, বৃক্ষ রোপণ অভিযান, মোবাইল কোটের মাধ্যমে বাল্য বিবাহ নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা,মাদক নিয়ন্ত্রন, ভাল কাজের জন্য জনসচেতনতা সৃষ্টি,আলোকিত মানুষ হওয়ার আহবানসহ দাপ্তরিক কর্মকান্ড অত্যান্ত নিপুনতার সহিত পালন করে চলেছেন । তিনি সকলের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে ভাঙ্গা উপজেলাকে একটি আদর্শ্য উপজেলা তৈরীকরতে আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ।

বর্তমানে বাংলাদেশের এই জাতীয় সংকটে এগিয়ে এসেছেন মানবতার দূত হিসেবে, সরকারের দেয়া বিভিন্ন ত্রান সামগ্রী পৌছে দিচ্ছেন গরীব ও অসহায় মানুষের দুয়ারে দুয়ারে। এছাড়াও নিজের থেকেও করছেন আর্থিকভাবে সাহায্য। তার কাছে গিয়ে কোন মানুষ খালি হাতে ফিরছেন না। তিনি বলেন এই উপজেলার জন্য বরাদ্দকৃত সামগ্রী যদিও মানুষের জন্য যথেষ্ট না,কারণ দীর্ঘদিন এই সামগ্রী দিয়ে মানুষের চলবে না।

তাই আমি নিজের বেতনের টাকা থেকে এবং আমার নিজেস্ব আর্থিক তহবিল থেকেও যতটুকু পারছি মানুষকে সাহায্যে করার চেস্টা করছি। কারণ এই বিপদের দিনে তাদের পাশে দাড়ানো আমার দায়িত্ব। এ বিষয়ে ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজিম উদ্দিন বলেন,আমি সততার সহিত দায়িত্ব পালন করে, ভাঙ্গা উপজেলাকে দূণীতিমুক্ত,মাদকমুক্ত,বাল্যবিবাহ রোধসহ একটি মডেল উপজেলায় রুপ দিতে চাই ।

আয়েশা আক্তার/অননিউজ24

আরো দেখুনঃ