আমদানি বাড়ায় মাত্র একদিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে পাইকারীতে (ট্রাকসেল) পেয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ৭ থেকে ৮টাকা। একদিন আগেও বন্দরে প্রতি কেজি পেয়াজ ৩৮থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ৩১ থেকে ৩২টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পেয়াজ আমদানি হওয়ায় সরবরাহ বাড়ায় পেয়াজের দাম কমছে বলে দাবী ব্যবসায়ীদের। এদিকে পেয়াজের দাম কমায় খুশি বন্দরে কিনতে আসা পাইকারগন, স্বস্তি ফিরেছে নিন্ম আয়ের মানুষজনের মাঝে।
হিলি স্থলবন্দরে পেয়াজ কিনতে আসা ইসরাফিল হোসেন বলেন, পুজার বন্ধের পর বন্দর দিয়ে পেয়াজ আমদানি শুরু হওয়ায় পেয়াজের দাম কমে ৩৪/৩৫টাকায় নেমে এসেছিল। কিন্তু গত ৩/৪দিন ধরে সেই পেয়াজের দাম আবারো বাড়তে শুরু করেছিল।
দাম বাড়তে বাড়তে ৪০টাকায় গিয়ে দাড়িয়েছেল। পেয়াজের দামের উদ্ধমুখির কারনে ও প্রতিদিন দাম বাড়ার কারনে আমরা পেয়াজ কিনতে ভয় পাচ্ছিলাম। মোকামে যে দামে পেয়াজ বিক্রি করছিলাম বন্দরে কিনতে আসে সেই দামে কিনতে হতো। বর্তমানে আবারো পেয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে একদিনেই ৭/৮ টাকা কমে গেছে এতে করে আমাদের কিনতে সুবিধা হচ্ছে তেমনি বিক্রি করতে সুবিধা হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরের পেয়াজ আমদানিকারক মোজাম হোসেন বলেন, দেশের বাজারে পেয়াজের চাহীদা মেটাতে আমদানিকারকগন ভারতের পাশাপাশি মায়ানমার থেকেও পেয়াজ আমদানি করছেন।
এর উপর গতকয়েকদিন ধরে পেয়াজ আমদানি করে লোকশান হওয়ার কারনে আমদানিকারকরা পেয়াজের আমদানি কমিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু গত তিন চার দিন ধরে দেশের বাজারে পেয়াজের চাহীদা বাড়ায় ও দাম বাড়ায় আবারো পেয়াজের আমদানি বাড়িয়েছেন আমদানিকারকরা।
এতে করে আগে যেখানে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১০ থেকে ১৫ট্রাক পেয়াজ আমদানি হতো এখন তা বেড়ে ২০ থেকে ২৫ট্রাক করে পেয়াজ আমদানি হচ্ছে। একইভাবে দেশের অন্যান্য বন্দর দিয়ে পেয়াজ আমদানির পাশাপাশি মায়ানমার থেকে পেয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। এতে করে দেশের বাজারে চাহীদার তুলনায় পণ্যটির সরবরাহ বাড়ায় বাজার ফল্ট করেছে যার কারনে আবারো পেয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে।
হিলি স্থলবন্দরের পেয়াজ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম বলেন, ভারতে পেয়াজের দাম আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে। এছাড়া বাজারে দেশীয় পেয়াজের যে দাম ২ হাজার ২শ টাকা উঠে গিয়েছিল সেটি আবারো কমে ১ হাজার ৮শ থেকে ৯শ টাকায় নেমে এসেছে।
যার কারনে বাজারে আমদানিকৃত পেয়াজের চাহীদা কিছুটা কমায় ও সরবরাহ বাড়ার কারনেই মুলত পেয়াজের দাম কমছে। হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, বন্দর দিয়ে পেয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। তবে পেয়াজের আমদানি আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে।
বন্দর দিয়ে সোমবার যেখানে ১৭টি ট্রাকে ৪৬৯টন পেয়াজ আমদানি হয়েছিল, মঙ্গলবার সেখানে ২৭টি ট্রাকে ৭৫৫টন পেয়াজ আমদানি হয়েছে।আর পেয়াজ যেহেতু কাচামাল তাই এটি দ্রুত বন্দর থেকে ছাড়করন দিতে সবধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করে রেখেছে বন্দর কতৃপক্ষ।
আয়েশা আক্তার/অননিউজ24