একযুগ পর বাতিল হওয়া নিবন্ধন ফিরে পেলো জামায়াত

অনলাইন ডেস্ক।।

জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক দল হিসেবে বাতিল হওয়া নিবন্ধন পুনর্বহাল করতে নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিয়েছেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত। রোববার (১ জুন) সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এই রায় দেন।

রায়ে বলা হয়েছে, জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিলের বিষয়ে হাইকোর্টের আগের রায় বাতিল করা হলো এবং নির্বাচন কমিশনকে অবিলম্বে দলটির নিবন্ধন ফিরিয়ে দিতে হবে। তবে দলটির নির্বাচনী প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে কোনো নির্দেশনা দেননি আদালত। এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে আদালতে ছিলেন ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, ব্যারিস্টার ইমরান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির, ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন এবং ব্যারিস্টার মীর আহমেদ বিন কাশেম।

প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর জামায়াতে ইসলামীর সাময়িক নিবন্ধন মঞ্জুর করে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু পরের বছর বিভিন্ন ইসলামী দলের ২৫ জন নেতা দলটির নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন।

রিটকারীরা অভিযোগ করেন, জামায়াতের গঠনতন্ত্র ও কার্যক্রম সংবিধান পরিপন্থী। এ প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি রুল জারি করে। পরবর্তীতে দলটি একাধিকবার গঠনতন্ত্র সংশোধন করে ‘জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ’ থেকে নাম পরিবর্তন করে ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’ করে এবং সংশোধিত গঠনতন্ত্র ইসিতে জমা দেয়।

২০১৩ সালের ১ আগস্ট হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ দলটির নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে। তবে জামায়াতকে আপিলের সুযোগ দেওয়া হয়।

এরপর আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত জামায়াতের স্থগিতাদেশ আবেদন খারিজ করে দেয়। ২০১৩ সালের ২ নভেম্বর আপিল দাখিল করে জামায়াত। পরবর্তীতে ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর আপিল বিভাগ জামায়াতের আপিল খারিজ করে দেয়।

২০২৪ সালের জানুয়ারিতে টানা চতুর্থ মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। একই বছরের ১ আগস্ট সরকার জামায়াতে ইসলামীর সব অঙ্গসংগঠনসহ দলটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।

তবে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর, জামায়াতের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়। সর্বশেষ আপিল বিভাগের এই রায়ে দলটি আবারও নিবন্ধন ফিরে পাচ্ছে।

সূত্র:বিডি২৪লাইভ

আ/অননিউজ২৪

আরো দেখুনঃ