সরবরাহ বাড়ায় দিনাজপুরের হিলিতে একসপ্তাহের ব্যবধানে পাইকাড়িতে কাচামরিচের দাম কমেছে কেজিতে ২০ টাকা করে। একসপ্তাহ আগেও প্রতিকেজি কাচামরিচ ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ২৫টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরাতেও একইভাবে কাচামরিচের দাম কমেছে। এদিকে কাচামরিচের দাম কমায় খুশি নিন্ম আয়ের মানুষজন।
হিলি বাজারে কাচামরিচ কিনতে আসা ফেরদৌস হোসেন বলেন, বাজারে সব কিছুর দাম বেড়েই চলেছে এর সাথে গতসপ্তাহে কাচামরিচের দাম খানিকটা বেড়ে গিয়েছিল। এতে করে আমাদের মতো নিন্ম আয়ের মানুষজনের সংসার চালাতে গিয়ে বেশ বিপাকের মধ্যে পড়তে হচ্ছিল। দাম বাড়তি থাকার কারনে বাধ্য হয়ে কাঁচামরিচ ক্রয়ের পরিমান কমিয়ে দিয়েছিলাম। তবে এখন আবারো কাচামরিচের দাম কমেছে এতে করে আমাদের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। দামটা যদি এমন কম থাকে তাহলে আমাদের জন্য ভালো হয়।
হিলি বাজারের কাচামরিচ বিক্রেতা বিপ্লব শেখ বলেন, কাচামরিচ একটি কাচামাল ও দ্রæত পচনশীল পণ্য বাজারে এর দাম কখনো বেশি হয় আবার কখনো দাম কম হয়। এর পুরোটি নির্ভর করে কাচামরিচের সরবারাহ ও আবহাওয়ার উপর। কিছু দিন আগে কখনো গরম আবার কখনো ঠান্ডা আবার ঝড় বৃষ্টির কারণে কাচামরিচের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি কৃষকরা ক্ষেত থেকে কাচামরিচ তুলতে পারেননি এতে করে সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়ে গিয়েছিল। বর্তমানে আবহাওয়া ভালো থাকায় কৃষকরা ক্ষেত থেকে কাচামরিচ তুলতে পারছেন যার কারনে বাজারে কাচামরিচের সরবরাহ বেড়েছে যার কারনে দাম কমতে শুরু করেছে। আগে শুধু বগুড়া থেকে কাচামরিচ আসলেও এখন জয়পুরহাট,পাঁচবিবি ও আশেপাশের বিভিন্ন অঞ্চলে কাচামরিচ উঠতে শুরু করায় বাজারে আবারো কাচামরিচের সররবাহ বেড়েছে যার কারনেই দাম কমতে শুরু করেছে।আশা করা যায় সরবরাহ এমন থাকলে সামনের দিনে দাম আরো কমতে পারে।