প্রতিদিন বিকেলে শিক্ষার্থীদের কলোকাকলিতে মুখর থাকে দেবিদ্বারের একটি গ্রাম। কারো হাতে বেলুন, কারো হাতে চকলেট আর উপহারের খাতা-কলম। এসব পেয়ে যেনো মহা আনন্দে স্কুলে আসে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা।
এই উপজেলার ইউছুফপুর ইউনিয়নের মুগসাইর গ্রামে দেড় শতাধিক সুবিধা বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের পাঠদান করে এক ঘন্টার স্কুল। স্থানীয়দের সহায়তায় এ স্কুলের উদ্যোগ নিয়েছে মুগসাইর গ্রামের 'ভালবাসার ঘর' নামে একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠন।
দেখা গেছে, বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত মুগসাইর লাইফ মডেল কিন্ডারগার্টেন স্কুলে চলে পাঠদান। তৃতীয় থেকে দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ও গণিতে দক্ষ করার পাশাপাশি গড়ে তোলছেন নৈতিক শিক্ষায়। পাঠদানের জন্য আছেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ৬জন শিক্ষার্থী।
মুগসাইর, এগারগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের গ্রামের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণ শিক্ষার্থীরা ১ ঘন্টার যে স্কুলটি করেছে সত্যিই তা প্রশংসার দাবিদার । হতদরিদ্র পরিবারের যে সমস্ত ছেলে-মেয়েরা ১ হাজার কিংবা ২ হাজার টাকার বিনিময়ে প্রাইভেট পড়তে পারছে না, তারা এখানে বিনামূল্যে শিক্ষাগ্রহণের সুযোগ পেয়ে আনন্দিত।
এক ঘন্টার স্কুলের সমন্বয়ক মোহাম্মদ শরীফ বলেন, 'ভালোবাসার ঘর' একটি সামাজিক সংগঠন। স্থানীয় এবং প্রবাসীদের সহায়তায় সমাজে নানা রকম ভাল কাজ করে থাকি আমরা। তারই অংশ হিসাবে এক ঘন্টার স্কুল স্থাপন করেছি।
আমার বিশ্বাস সুবিধা বঞ্চিত এই শিশুরা একদিন বাংলাদেশ তথা মুগসাইর গ্রামের সুনাম বয়ে আনবে।
ইউছুফপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাকারিয়া বলেন, মুগসাইর গ্রামের কিছু উদ্যোমী তরুণ শিক্ষার্থী বিনামূল্যে যে শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনা করছেন অনেক ভালো কাজ। তারা শিক্ষার মান উন্নয়ণে অগ্রণী ভুমিকা পালন করছে। পরিচালনা করতে কোনো ধরণের সহযোগীতার প্রয়োজন হলে আমার পক্ষ থেকে যতটুক সম্ভব সহায়তা করার চেষ্টা করবো।
এফআর/অননিউজ