ছোঁয়াচে রোগে পরিণত হয়ে গেছে একে অপরের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ। এক দিকে দ্বীনি ইলম চর্চা করছে অপর দিকে হিংসা বিদ্বেষের পূজা করছে, এটা নিঃসন্দেহে দ্বীনি ইলমের সাথে মুনাফিকে ছাড়া আর কিছু নয় । আল্লাহকে স্বাক্ষী রেখেই বলছি, আল্লাহর কসম আপনার প্রতি আমি যদি বিন্দু মাত্র হিংসা নিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নেই কিয়ামতের মাঠে আল্লাহ আমাকে আপনার সামনে দাড় করাবেন ।
কঠিন বিপদের দিন আমি আমাকে নিয়ে ব্যাস্ত থাকতে হবে , কেও আমাকে নেকি দিবেনা ।
তাহলে অপরের প্রতি হিংসা বিদ্বেষ যদি কিয়ামতের মাঠে বিপদের কারণ হয় তাহলে রব্বে কারীমের নিকট ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি , আর নিজের জন্য দোয়া করছি আল্লাহ আমার বক্ষকে হিংসা মুক্ত উদারতা দিয়ে পূর্ণ করে দিন । ভুল মানুষের জন্য , ভুল পশু পাখির দ্বারা হয়না ।
আদম (আঃ) এর উদ্দেশ্য ভালো ছিলো যে তিনি আজীবন জান্নাতে থাকতে পারবেন , কিন্তু আল্লাহর নিষেধ ছিলো ঐ গাছের কাছে যেয়োনা । শয়তানি চক্রান্তে পড়ে গাছের ফল খাওয়ার কারণে তাকে জান্নাত থেকে দুনিয়াতে প্রেরণ করা হয় । এখানে কিন্তু উদ্দেশ্য ভালো ছিলো তিনি ইচ্ছা করে ভুল করেননি। নিজে বাঁচার চেষ্টা করুণ নিজের পরিবারকে হেফাজাত করুণ । কিয়ামতের কঠিন পরিস্থিতি যেন আমাদের জন্য সহজ হয়ে উঠে।
একে অপরের উচিত হবে হিংসা থেকে নিজেকে হেফাজাত করা , নিজের ইলমকে যথাযথ মূল্যায়ন করা ।
আল্লাহ অবগত আছেন , আমার পিতা মাতা সর্বদায় সকলের সাথে সৎ ব্যাবহারের নির্দেশ দেন । হিংসা মুক্ত জীবন গঠনের নসিহা করেন । পিতা মাতার সুসন্তান কখনো অন্তরে বক্রতা পোষণ করেনা , ইলমের সাথে মুনাফিকি করেনা।
তাইতো, গভীর রাতে আল্লাহকে ডাকে বলি, হে আমার রব তুমি আমার অন্তরে জমে থাকা পাপকে পানি , শিশির ও বরফ দ্বারা ধৌত করে দাও । কলিজার অবস্থান আল্লাহ ভালো ভাবে অবগত আছেন । আল্লাহকে বলি, আল্লাহ তুমি আমাকে সুন্দর মৃত্যু দান করো ।
ভুলতো থাকবেই এটাই স্বাভাবিক । আর সংশোধ হতে হবে নববী পদ্ধতিতে সেই খাঁটি আহলে হাদীছ।