কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কাঁঠালিয়াকান্দা হযরত খালিদ বিন ওয়ালিদ (রাঃ) হাফিজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার টাকা আত্মসাত কারীদের বিচারের দাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনের একাংশ।

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানাধীন রামচন্দ্রপুর উত্তর ইউনিয়নের কাঁঠালিয়াকান্দা হযরত খালিদ বিন ওয়ালিদ (রাঃ) হাফিজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার ৮ লাখ ৭২ হাজার টাকা আত্মসাত কারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত মনছুর আলীর ছেলে সাবেক মেম্বার জীবন মিয়া, কাঁঠালিয়া কান্দা গ্রামের মৃত মতি উল্লার ছেলে শামছুল হক ও মৃত ফরিদ উদ্দীনের ছেলে শাহ আলমের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ তোলা হয়।

শনিবার দুপুরে ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করে এতিমখানার শিক্ষার্থী ও এলাকার কয়েক’শ বিভিন্ন শ্রেনি পেশার লোকজনের উপস্থিতিতে মাদরাসা সংলগ্ন মাঠে ওই মানববন্ধন
অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, এতিমখানার বর্তমান কমিটির সভাপতি আবু হানিফ, সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিন রিপন, সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন, মাদরাসার প্রধান শিক্ষক হাফেজ আল-আমিন, উপদেষ্টা সদস্য বাবুল মিয়া।

অন্যান্যের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, গিয়াস উদ্দিন, জয়নাল আবেদীন, শাহিন মিয়া, বাবুল মিয়া, সাধন মিয়া, সুরুজ মিয়া, মোবারক হোসেন, লিয়াকত মিয়া, আবদুল কাইয়ুম,আব্দুস সালাম ও রফিক মিয়া প্রমুখ।

বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত মনছুর আলীর ছেলে সাবেক মেম্বার জীবন মিয়া, কাঁঠালিয়া কান্দা গ্রামের মৃত মতি উল্লার ছেলে শামছুল হক ও মৃত ফরিদ উদ্দীনের ছেলে শাহ আলমের নেতৃত্বে এতিমখানা ও মাদরাসাটি পরিচালিত হতো।

গত ৬ সেপ্টেম্বরে এলাকাবাসী ও মাদরাসার অভিভাবকদের পরামর্শ অনুযায়ী নতুন কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটি গত ১২ সেপ্টেম্বর রামচন্দ্রপুর বাজারের জনতা ব্যাংক শাখায় গিয়ে জানতে পারেন গত ১০ সেপ্টেম্বর অভিযুক্তরা এতিমখানার আট লক্ষ বাহাত্তর হাজার আটশত একুশ টাকা ব্যাংক থেকেতুলে নেয়। যার ফলে বর্তমানে এতিমখানার শিক্ষার্থীদের খানাপিনাসহ যাবতীয় খরচ চালাতে নতুন কমিটি হিমশিম খাচ্ছে।

এতিমখানার টাকা উদ্ধারের জন্য নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন বাদী হয়ে অভিযুক্ত ওই ৩ জনের নাম উল্লেখ করে বাঙ্গরা বাজার থানায় অভিযোগ করেন।
বাঙ্গরা বাজার থানার ওসি শফিউল আলম বলেন এতিমখানার টাকা তুলে নেওয়ার বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টির তদন্ত চলছে। সহসাই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে এতিমখানা পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি ও সাবেক মেম্বার জীবন মিয়া বলেন, আমি স্বাক্ষর দিয়ে টাকা তুলিনি, কে বা কারা টাকা তুলে নিয়েছেন আমি
জানি না।