ওমানের সোহালে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত জিয়া উদ্দিন বাবলুর লাশ রোববার সকাল নয়টায় নামাজে জানাজা শেষে চরচান্দিয়া ইউনিয়নের উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের চৌধুরী পুকুর সামাজিক কবরাস্থানে দাফন করা হয়েছে। .
শনিবার দিবাগত রাত একটায় চট্টগ্রাম হযরত শাহআমানত বিমান বন্দরে তার মরদেহ এসে পৌঁছে। রোববার সকাল সাতটায় লাশ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছলে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। পরিবারের সবাই এবং এলাকাবাসী হাউমাউ করে কাঁদতে থাকে।
বাংলাদেশ সময় ১৫ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দুইটায় সড়ক বিভাজকের সঙ্গে ধাক্কা লেগে প্রাইভেটকার ধুমড়েমুচড়ে সে মারা যায়। তিনি গাড়িটির চালক ছিলেন। বাবলু ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়নের উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের বেকের বাজারের মো. সেলিম উদ্দিনের ছেলে। দুই ভাই তিন বোনের মধ্যে বাবলু ছিল মেঝ। নিহতের নিকটাত্মীয় চরচান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শামছুউদ্দিন খোকন বলেন, দীর্ঘ দশ বছর যাবৎ ওমানের একটি কোম্পানীতে প্রাইভেট কার চালক হিসেবে বাবলু কর্মরত ছিলেন। সর্বশেষ দুই বছর পূর্বে দেশের মাটিতে ছুটি কাটিয়ে সে ফের ওমানে যান। আশা ছিল এক বছর পর দেশে ফিরে বিয়ে করবেন। ওমানের সোহাল নামক স্থানে প্রাইভেট কারের চাকা ফেটে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজকের সঙ্গে ধাক্কা লেগে গাড়িটি ধুমড়েমুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই বাবলু মারা য়ায়।
এফআর/অননিউজ