কচুয়া উপজেলার ৫নং পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়েনর প্রসন্নকাপ মজুমদার বাড়ীর কয়েকটি পরিবারকে মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। প্রসন্নকাপ গ্রামের মজুমদার বাড়ীর ভূক্তভোগী ১৪টি পরিবার এই দাবী করেন। মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে কচুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যাহার মামলা নং ২৫, তারিখ ২৬-০৫-২০২২। বাদী মুজিবুর রহমানের মেয়ে শারমিন আক্তার(২২)।
বাদী মামলায় উল্লেখ করেন যে,গত ২৩/০৫/২০২২খ্রী: সকালে জমিজমা ও পূর্বে বিরোধের জের ধরে পরিকল্পিতভাবে বাদী শারমিন আক্তারের মা নাজমা বেগমকে এলোপাতাড়ি ভাবে মারধর করেন। একই বাড়ীর রুহুলা আমিন মজুমদার,ওমর ফারুক মজুমদার, হাসিনা বেগম, মোশারফ হোসেন মজুমদার, আমির হোসেন,সুবহান মজুমদারসহ কয়েকজন পরে ১১জন নাম উল্লেখ করে কচুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী আরিফুল ইসলামের স্ত্রী আকলিমা বেগম, রুহুল আমিনের স্ত্রী নার্গিস বেগম, মান্নানের স্ত্রী নাজমা বেগম, জয়নালের স্ত্রী আখি বেগম, আমির হোসেনের স্ত্রী সুমি বেগম, ওমর ফারুক, মোশারফ হোসেন, আমির হোসেন, সুবাহান মজুমদারসহ অনেকে জানান, মুজিবুর রহমানের স্ত্রী নাজমা বেগম ও তার মেয়ে শারমিন আক্তার বাড়ীর যেকোনো তুচ্ছ বিষয় কেন্দ্র করে বাড়ীর লোকজনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। বিভিন্ন সময় বাড়ীর লোকজনকে মারধর করতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দৌড়ে আসেন। যে কোন তুচ্ছ বিষয় নিয়ে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ ও মামলা দিয়ে হয়রানি করেন।
মামলার বাদী শারমিন আক্তার বলেন, বাড়ির রুহুল আমিন, ওমর ফারুক, হাসিনা বেগম, মোশারফ হোসেন ,আমির হোসেন গংদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে আমাদের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। আমাদেরকে কারনে অকারনে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে আমার মা নাজমা বেগম, ছোট ভাই ও আমার উপর বিভিন্ন সময়ে মারধর ও নির্যাতন করেন তারা।
গত (২৩ মে) সোমবার সকালে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার মা নাজমা বেগমকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। আমার মা এখনই ওই কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এখনো রয়েছে। আমার বাবা মুজিবুর রহমান বাড়িতে না থাকায় আমাদেরকে হয়রানি এবং মারধর করে থাকে।
প্রধান সম্পাদক: হুমায়ুন কবির রনি
মোবাইল: ০১৭১৬-৫৩০৫১৪
ইমেইল: onnews24@gmail.com
www.onnews24.com