কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে শিক্ষার্থীদের থেকে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতারও। কলেজের সংবাদ প্রকাশের কারণে এক সাংবাদিককে শারিরিক ভাবে নির্যাতন করতেও কুণ্ঠাবোধ করেননি তিনি। তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কাজ হলে কলেজ শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের সাথে প্রায়ই উদ্ধতপূর্ণ আচরণ করেন অধ্যক্ষ। ২৯ হাজার শিক্ষার্থীর এ কলেজে বর্তমান অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আবু জাফর খান দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই কলেজে শুরু হয়েছে ফি নামের অনিয়ম ও দুর্নীতি। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের ভাষ্য-কখনো এই ফি, কখনো সেই ফি' বলে তাদের গলা কাটা মুরগির ন্যায় টাকা লুটে নিচ্ছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
বর্তমানে অবস্থাটা এমন হয়েছে যে- কোন খাতে কিসের টাকা দিচ্ছে- সেটাই জানেন না শিক্ষার্থীরা। ফলে কলেজের প্রায় ২৯ হাজার শিক্ষার্থীর দীর্ঘদিনের নিরব ক্ষোভ ক্রমান্বয়ে বিক্ষোভে রূপ নিতে যাচ্ছে। এ সকল অনিয়মের কারণে কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামারও হমকি দিয়েছে কোন কোন শিক্ষার্থী। তারা দুদককে অনুরোধ করে বলেছেন, ভিক্টোরিয়া কলেজকে পরিচ্ছন্ন রাখার স্বার্থে দুদক যেন বিষয়টি দেখভাল করেন।
গত পক্ষকাল ধরে কলেজের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমান অধ্যক্ষের আগের অধ্যক্ষের সময়ে অত্যাবশ্যকীয় কর্মচারীদের যে বেতন ৩০০ টাকা ছিলো, বর্তমান অধ্যক্ষ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ থাকার সময় ২০২১ সালের ২৮ জুন একাডেমিক কাউন্সিলের সভা করে করোনা মহামারির কারণে 'অত্যাবশ্যকীয় কর্মচারী তহবিল' স্বল্পতার কারণ দেখিয়ে মানবিক কারণে ফলম ফিলাপের সময় ৬০০ টাকা আদায় করার সিদ্ধান্ত হয়। করোনা প্রকোপ শেষ হয়ে গেলেও এখনো 'অত্যাবশ্যকীয় কর্মচারী তহবিল' এর নামে ৬০০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। এই বিপুল পরিমান টাকা কোথায় যায় বা আদৌ তহবিলে আছে কি না তার হিসাব চায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ২০২১ সালের জুন থেকে ২০২৩- ২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পর্যন্ত গত তিন বছরে ২৯ হাজার শিক্ষার্থী থেকে ৬০০ টাকা করে প্রায় ৫২ কোটি ২ লক্ষ টাকা আদায় করা হয়েছে। এখন সেই তহবিলে কত আছে জানতে চায় শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কলেজে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ে চলছে তুঘলকি যতসব কাজ। কোন খাতে কিসের টাকা জমা নিচ্ছেন সেই তথ্য জানেন না অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা। এমনকি কলেজের বিভাগীয় প্রধানদের নিকটও পাঠানো হয় না এ সকল তথ্য। ভর্তি-ফরম পূরণের খাত ভিত্তিক ফি তালিকা থাকলেও তা অনুসরণ না করে মোট টাকা বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। একই ফি একাধিকবার আদায়েরও প্রমাণ আছে বলে দাবি শিক্ষার্থীদের।
তবে অধ্যক্ষ বলছেন, একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তে এসব ফি দ্বিগুণ করা হয়েছে। সূত্রমতে, ২০২১ সালের ২৯ এপ্রিল কলেজের ৫৫ তম অধ্যক্ষ হিসাবে যোগদান করেন অধ্যাপক ড. আবু জাফর খান। বিদায়ী অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. রুহুল আমিন ভূঁইয়ার সময়ে পরিবহন খাতে শিক্ষার্থী ফি ছিলো ৩০০ টাকা। বর্তমান অধ্যক্ষ প্রথমে তা ৬০০ পরে ৮০০টাকা করেছেন। কলেজের অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা যেখানে সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসেছে। সেখানে শুধু পরিবহন খাতেই অতিরিক্ত ৫০০ টাকা বেশি দেওয়া তাদের জন্য মরার উপর খড়ার ঘা ছাড়া আর কি হতে পারে?
নাম প্রকাশ না করা শর্তে কলেজের দুইজন বিভাগীয় প্রধান ও একজন একাডেমিক কাউন্সিল সদস্য জানান, ২০২১ সালের ২৮ জুন সন্ধ্যায় জুম মিটিং এর মাধ্যমে একটি সভা হয়। সে সভায় একটি প্রস্তাব ছিলো এমন, করোনাকালীন সময়ে 'অত্যাবশ্যকীয় কর্মচারী বেতন' ফান্ডে টাকা কম আছে। ২০২১ সালের ঈদুল আযহার বেতন- ভাতা দিলে ফান্ডে আর তেমন টাকা থাকবে না। সে কারণে কর্মচারীদের বিষয়টি মানবিক বিবেচনা করে ৩০০ টাকা বেতন ৬০০ টাকা আদায় করা হবে। সে ঘোষণায় লিখিত আছে, শুধু ফরম ফিলাপের সময় এ টাকা আদায় করা হবে। অর্থাৎ একবার মাত্র ৬০০ টাকা নিবে। কিন্তু ২০২৪ সালের এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কলেজ কর্তৃপক্ষ সেই ৬০০ টাকাই নিচ্ছে। যেহেতু ভর্তি, ফরম ফিলাপের অর্থ আদায়ের বিবরণ কশি বিভাগে পাঠানো হয় না। তাই এ বিষয়ে আর কিছু বলবো না।
২০২১ সালের আগস্ট মাসে দৈনিক আজকের পত্রিকায় ভিক্টোরিয়া কলেজে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ওই সময় ড. আবু জাফর খান বলেছিলেন, একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় টাকা বাড়িয়েছি। পরে কমিয়ে আনা হবে। কিন্তু অধ্যক্ষের সেই কমিয়ে আনার আর কোন খবর পাওয়া যায়নি।
সদ্য অবসর-উত্তর ছুটিতে (পিআরএল) যাওয়া একজন শিক্ষা কর্মকর্তা জানান, রেমুনেরেশনের বিষয়টি পরিপত্রে নেই। এখানে প্রতিটি কমিটির সদস্য, শিক্ষক পরিষদ, উপাধ্যক্ষ, অধ্যক্ষ ও সিন্ডিকেট কর্মচারীরা রেমুনেশন পায়।
পরিবহনে প্রতিদিন অতিরিক্ত বিল করার সুযোগ থাকে। সেটা ১০ টাকা খরচের বিল-ভাউচার আমরা ৪০ বা ৫০ টাকা লিখে থাকি। ন্যয়তো স্যারদের রেমুনেশন দেওয়া যাবে না। পরিবহন কমিটির সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০২১ সালের ১৩ নভেম্বর প্রায় ৪৩ শতাংশ জ্বালানির দাম বাড়ানোর কারণে পরিবহন চাঁদা ৩০০ থেকে দ্বিগুণ করে ৬০০ টাকা করা হয়। পরে জ্বালানির দাম কমলেও এ টাকা আর কমানো হয়নি। সর্বশেষ গতবছরের ১ অক্টোবর একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় গৌরীপুর, কোম্পানীগঞ্জ রোডে ব্যস বৃদ্ধির কারণে আরো ২০০ টাকা বাড়িয়ে ৮০০ টাকা করা হয়।
লামিসা নূর চৌধুরী নামে এক শিক্ষার্থী জানান, দ্বিতীয় মেধা তালিকায় গণিত বিভাগে চান্স পেয়েছি। বিজ্ঞপ্তিতে ভর্তি ফি ৬ হাজার ১৮২ ঢাকা জমা দিতে বলছে। এখানে পরিবহন কোনটা, কর্মচারী বেতন কতো সেটা বলেনি।
এক বিষয় ফেল করার কারণে অনার্স ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র জুবায়ের আহম্মেদ আবার পরীক্ষা দিচ্ছেন। তিনি বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফি ৫৫০ টাকা। অথচ ভিক্টোরিয়া কলেজের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে ১,৮৫৫ টাকা। তবে অতিরিক্ত টাকা কোন খাতের তা লেখা নেই। শুধু মোট ১,৮৫৫ টাকা লেখা আছে। ভিক্টোরিয়া কলেজ যদি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আদেশ বৃদ্ধাঙ্গলি দেখায় তাহলে সাধারণ কলেজ গুলি কি করবে যোগ করেন যোবায়ের।
ইতিহাস বিভাগের ছাত্রী নাছরিন আক্তার বলেন, আমি দ্বিতীয় বর্ষে কর্মচারী বেতন ৬০০ টাকা দিয়েছি। দ্বিতীয় বর্ষে ইংরেজি বিষয় ফেল করেছি। তৃতীয় বর্ষের ভর্তির সময় আবার কর্মচারী বেতন ৬০০ টাকা দিয়েছি। ঠিক দ্বিতীয় বর্ষে এক বিষয় ফেল করার কারণে ফরম ফিলাপের সময়ও আমাকে কর্মচারী বেতন আবারও ৬০০ টাকা দিতে হয়েছে সব মিলিয়ে তৃতীয় বর্ষে কর্মচারী বেতন আমাকে ১২০০ টাকা দিতে হয়েছে।
রসায়ন বিভাগের শামীমা জাহান বলেন, সেশন ফি ও ফরম পূরণ উভয়টিতে পরিবহন ফি ধরা হয়েছে। একই ফি কেনো দু'বার দিতে হবে আমার প্রশ্ন? কলেজের একটি বিভাগের এক অফিস সহকারী জানান, আমি ১৩ বছর চাকরি করি। ২০২০ সাল থেকে ভর্তি ও ফরম পূরণের বিজ্ঞপ্তি পাই। আগের মতো পৃথক, পৃথক খাত লিখা থাকে না। যদি পেতাম, তাহলে নোটিশ বোর্ডে দিতাম।
সনাক কুমিল্লার সভাপতি রোকেয়া বেগম শেফালী বলেন, প্রতিটি প্রতিজিনের আয়-ব্যয় হিসাব ওয়েব সাইটে বাৎসরিক প্রকাশ করতে হবে। প্রয়োজনে শিক্ষার্থীরা তথ্য আইনের চর্চা করবে, এ সুযোগ থাকবে। সরকারি টাকা কারো ব্যক্তির সম্পত্তি নয়। শিক্ষার্থীদের থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় করা সরকারি পরিপত্রে নেই।
এ দিকে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আবু জাফর খানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনেছেন কলেজে অধ্যায়নরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীরা।
ভিক্টোরিয়া কলেজ সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আবু সুফিয়ান রাসেল বলেন, ভয়ে আছি, পত্রিকায় সত্য কথা বললে না বুঝি আবার অধ্যক্ষ স্যার কোন ক্ষতি করে বসে। কারণ তিনি শুধু গণমাধ্যম কর্মীদের গায়ে হাতই উঠাননি, অত্মীয়ের পত্রিকার মাধ্যমে ডাহা মিথ্যা কথা লিখাতেও বাধ্য করেন। তিনি বলেন, ২০২২ সালে 'ভিক্টোরিয়া কলেজে ভাষা সৈনিকদের স্মৃতি রক্ষায় নেই উদ্যোগ' শীর্ষক শিরোনামে আমি একটা নিউজ করি। এর কয়েকদিন পর কলেজের মসজিদের সামনে অধ্যক্ষ স্যারের সাথে দেখা হলে তিনি প্রথমেই উত্তেজিত হয়ে জানতে চান, কেন আমি কলেজের বিরুদ্ধে নিউজ করলাম। এরপরই তিনি আমাকে গালে উপর্যপুরি চর থাপ্পর মারেন। আমি লোক লজ্জার ভায়ে এ কথাটা কাওকে এতদিন বলিনি।
বস্তুনিষ্ট সংবাদ করার কারণে দেশের আর কোন অধ্যক্ষ কোন সাংবাদিকের গায়ে হাত তুলেছেন কি না তা আমার জানা নেই। সাংবাদিক সুফিয়ান আরো বলেন, ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর। কলেজের প্রতিষ্ঠাবার্ষীকীতে ভিক্টোরিয়া বাতায়ন নামে একটি পত্রিকা বের হয়। মূল দায়িত্বে ছিলেন শিক্ষক পরিষদ। পত্রিকায় স্যারের প্রবন্ধটি কেন ভিতরের পাতায় প্রকাশ করা হলো সেই জন্য স্যার আমার মুখের উপর পত্রিকাটি ছুঁড়ে মেরে বললেন, পত্রিকার সব গুলো কপি পুড়ে ফেলে দিয়ে নতুন করে ছাপিয়ে আনো। অথচ, ভিক্টোরিয়া বাতায়ন নামের পত্রিকাটিতে লেখা দেখার দায়িত্ব ছিল সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের। পরে পত্রিকা গুলো রাতে পুরিয়ে নতুন করে ছাপা হয়।
কুমিল্লার এক সিনিয়র সাংবাদিক বলেন, কেন জানি অধ্যক্ষ সাহের সুযোগ পেলেই সাংবাদিকদের নিয়ে বিষোদগার করেন। গত ১০ মার্চ কুমিল্লায় বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে অধ্যক্ষ সাহেব বলেন, সাংবাদিকরা বুঝেন কম, বলেন বেশি। এ সময় সাংবাদিকদের মধ্যে নিরবে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়।
কলেজের সহ শিক্ষা কার্যক্রমে যুক্ত থাকা একজন সিনিয়র সদস্য জানান, পরিপত্রের হিসাবে ২০টাকা করে ২৯ হাজার শিক্ষার্থী থেকে বছরে ৫ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা ব্যাংকে জমা হয়। কর্তৃপক্ষ আমাদের বছরে দুই লক্ষ টাকাও উত্তলন করতে দেন না। ক্যাম্পের জন্য যে টাকা উত্তোলন করা হয়, তার ২০ শতাংশ শিক্ষক উপদেষ্টারা কৌশলে অতিরিক্ত বিলের কাগজ দেখিয়ে নিয়ে নেন। একজন শিক্ষক একটি সংগঠনের উপদেষ্টা দুই বছরের বেশী থাকতে পারেন না। গত চার বছরে সংগঠনের উপদেষ্টা পরিবর্তন হচ্ছে না।
একাধিক অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের দাবি, ভিক্টোরিয়া কলেজের আর্থিক বিষয়গুলো নিয়ে দুদকের উচিত সুষ্ঠু ভাবে তদন্ত করা। ইতিমধ্যে দুর্নীতির অভিযোগে কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ রতন কুমার সাহার নামে মামলা হয়েছে। একই অভিযোগ কলেজের দুইজন কর্মচারী এখন জেলে আছেন।
জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক প্রফেসর সোমেশ কর চৌধুরী বলেন, এমন অনিয়ম হলে এটি আপনারা (সাংবাদিক) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে জানান, আসলে এটি দেখভালের দায়িত্ব জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের। তারা অতিরিক্ত ফি কেনো নিচ্ছে অভিযোগটি যাচাই-বাচাই করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন তারা (জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়)।
বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আবু জাফর খান বলেন, কথাগুলো সঠিক নয়। তবে বাড়ছে পরিবহনের রোড। ৪টা গাড়ি বাড়ছে। পরিবহনের জন্য একটা কমিটি আছে, আর ওই কমিটির আহ্বায়ক আছে। আহ্বায়ককে যখন বলা হয়েছে এ ৪টা গাড়ি এদিকে বাড়াতে হবে। আগে গাড়ি চান্দিনা যাইতো। এখন গাড়ি গৌরীপুর পর্যন্ত যায়। আগে ১টা গাড়ি যাইতো, আর এখন ২টা গাড়ি যায়। ৪ টা রোডে ৪টা গাড়ি যায় তার জন্য একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত মতে টাকাটা বাড়ানো হয়েছে।
কর্মচারীদের বেতন বাড়ানো হয়েছ। যখন করোনাকালীন সময়ে রুহুল আমীন স্যার অর্ধেক বেতন দিয়েও যখন পারতোনা তখন কর্মচারীদের ১১ মাসের, ১২ মাসের, ১৪ মাসের বেতন পাওনা ছিলো। সবাই যখন টাকা একসাথে চাচ্ছিলো তখন একাডেমিক কাউন্সিলে মিটিং করে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাদের সকল টাকা দেয়া হবে তখন তাদের বকেয়া আমরা পরিশোধ করেছি।
এখন আর টাকা পাওনা নাই। সংবাদকর্মীদের নির্যাতন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ বলেন, আমার ভাব দেখে, আমার সাইজ দেখে, উচ্চতা দেখে মনে হয় কি আমি নির্যাতন করতে পারি। সংবাদকর্মীকে নির্যাতন করিনি, যদি কিছু বলে থাকি বা যদি কিছু বকাবকি করে থাকি সেটা আমার ছাত্র-শিক্ষক সুলভ বকাবকি। ওটা সংবাদকর্মীকে বকাবকি করছি এমন না।
সূত্রঃ দৈনিক আমাদের কুমিল্লা