বুড়িচং ফজলুর রহমান মেমোরিয়্যাল কলেজ অব টেকনোলজির হোস্টেল ও ক্যাম্পাস এলাকায় মাদক সাপ্লাইয়ের অভিযোগ উঠেছে দশম শ্রেণী পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে।
ওই শিক্ষার্থীর নাম শিহাব হোসেন। সে এবছর বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী হয়েছিলো। শিহাব বুড়িচংয়ে ফজলুর রহমান মেমোরিয়্যাল কলেজ অব টেকনোলজির গণিত বিভাগের শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেনের ছেলে। এবং সে এ কলেজ অব টেকনোলজির দশম শ্রেণীর ছাত্র।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বুড়িচং ফজলুর রহমান মেমোরিয়্যাল কলেজ অব টেকনোলজির কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, শিহাব দীর্ঘদিন কলেজে এবং হোস্টেলে মাদক সাপ্লাই করে। সুনির্দিষ্ট প্রমাণ থাকার পরেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেনি এ প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ। শিহাবের এই অপরাধ অন্য শিক্ষার্থীদের ঘারে চাপাতে খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়েছে অধ্যক্ষ ও গণিত বিভাগের শিক্ষক আনোয়ার হোসেন।
একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, শিহাবের বাবা ছেলেকে সবার উপরে রাখতে পরীক্ষার সময় সর্বোচ্চ সহযোগিতা করেন। আজকেও সে ক্লাসে নাই ইউনিফর্ম পরে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে গেছে। এর আগে এ প্রতিষ্ঠানে মাদকের সাথে জড়িত থাকায় একাধিক শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সাম্প্রতিক একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, শিহাব মাদক আনতে গিয়ে সদর ইউনিয়নের জগতপুরে স্থানীয়দের হাতে আটক হয় শিহাব। এ সময় সে নিজে মুখে স্বীকারোক্তি দেয় এবং মাদক গুলো একটি সিগারেটের পেকেট থেকে বের করে জনসম্মুখে দেখায়।
আনোয়ার হোসেনকে জানায়, এটা প্রিন্সিপাল সমাধান করে দিয়েছে।
ফজলুর রহমান মেমোরিয়াল কলেজ অব টেকনোলজির অধ্যক্ষ মো. আবু তাহের বলেন, এটা একটি ষড়যন্ত্র। তাকে ধরে নিয়ে জগতপুরের আলামিন টাকা জন্য এটা করেছে। এটার সাথে আমার কলেজের কয়েকজন জড়িত ছিলো তাদের অভিভাবক ডেকে তাদের কাছ থেকে খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রেখে তাদেরকে একটি সুযোগ দিয়েছি।
বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাহিদা আক্তার জানায়, আমি এ বিষয়ে অবগত নই। জানলে আমি অবশ্যই ব্যবস্থা নিতাম। আমি এই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে ইতিপূর্বে মাদক সেবনের অপরাধে একজন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার এবং সংশোধনাগারে প্রেরণের জন্য তার পিতার নিকট হস্তান্তর করেছি।
একে/অননিউজ24