কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ মোঃ সোহেল ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা হরিপদ সাহাকে প্রকাশ্যে নিজ কার্যালয়ে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মামলাটি কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের(ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। গত রবিবার মামলাটি হস্তান্তর করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সত্যজিত বড়ুয়া।
এদিকে মঙ্গলবার সকাল ৯ টায় নগরীর ১৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর হোসেন বাবুলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে আনা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মনজুরুল কাদের ভুইয়া।
এতদিন মামলাটির তদন্তভার ছিলো কোতয়ালী মডেল থানায়। এর আগে মামলার এজাহারনামীয় ৫ আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। কুমিল্লার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক চন্দন কান্তি নাথ সোমবার বিকেলে এ আদেশ দেন।
মামলার এজাহারভুক্ত ৬ নম্বর আসামি মো. আশিকুর রহমান রকি, ৭ নম্বর আসামি আলম, ৮ নম্বর আসামি জিসান ও ৯ নম্বর আসামি মাসুমকে প্রত্যেককে ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
জোড়া খুনের ঘটনায় গত ২৩ নভেম্বর রাতে কাউন্সিলর সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৮-১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় ইতিপূর্বে গ্রেফতার ওই চার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ৭ দিন করে রিমান্ড চেয়ে পৃথক আবেদন করা হয়। সোমবার আবেদনের শুনানী হয় এবং তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালত ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এ পর্যন্ত মামলায় এজাহারনামীয় পাঁচজন ও সন্দেহভাজন দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ও র্যাব। এরই মধ্যে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে মামলার প্রধান আসামি শাহ আলম, সাব্বির হোসেন ও সাজন। এ মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামি সোহেল ওরফে জেল সোহেল, সায়মন ও রনিকে গ্রেফতার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ২২ নভেম্বর বিকালে নগরীর সুজানগর-পাথুরিয়াপাড়া এলাকায় কাউন্সিলর সোহেলের নিজ কার্যালয়ে কালো মুখোশ পরা অস্ত্রধারীরা সোহলে ও তার সহযোগী হরিপদ সাহাকে এলোপাথাড়ি গুলি করে হত্যা করে। এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন আরো অন্তত ৪ জন।
আহসানুজ্জামান সোহেল/অননিউজ24