কাউন্সিলর সোহেলের অবশেষে শেষ রক্ষাটুকু হলোনা,কুমিল্লা জেলার আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত বলেন ‘হত্যাকাণ্ডের ৩দিন আগে কাউন্সিলর সোহেল কম্পিউটারে টাইপ করে সন্ত্রাসীদের নাম মোবাইল নম্বর এবং তাদের কার বিরুদ্ধে কোন কোন মামলা রয়েছে তা লিখে একটি তালিকা করে আমাকে দিয়েছিল।
সোহেল শঙ্কা প্রকাশ করে বলেছিল যে তালিকায় নাম থাকা সন্ত্রাসীরা যে কোনো মুহূর্তে তার ক্ষতি করতে পারে। বিষয়টি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপারকে অবহিত করতেও বলেছিল সে।
গত সোমবার কাউন্সিলর সোহেলের নিজ কার্যালয়ে সন্ত্রাসীদের গুলিতে খুন হন, তার সহযোগী হরিপদ সাহাসহ। এ সময় আরো চারজন গুলিবিদ্ধ হন। আওয়ামী লীগের নেতাদের তা জানিয়েছিলেন তবে কাউন্সিলর সোহেল আগে থেকেই নিজের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কায় ছিলেন। ।
কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত আরো বলেন মোবাইল নম্বরসহ সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীদের তালিকা করে তা এক নেতাকে দিয়েছিলেন তিনি।
হত্যাকাণ্ডের ৩দিন আগে কাউন্সিলর সোহেল কম্পিউটারে টাইপ করে সন্ত্রাসীদের নাম মোবাইল নম্বর এবং তাদের কার বিরুদ্ধে কোন কোর মামলা রয়েছে তা লিখে একটি তালিকা করে আমাকে দিয়েছিল। বিষয়টি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপারকে অবহিত করতেও বলেছিল সে। সোহেল শঙ্কা প্রকাশ করে বলেছিল যে তালিকায় নাম থাকা সন্ত্রাসীরা যে কোনো মুহূর্তে তার ক্ষতি করতে পারে।’
তালিকা পাওয়ার পর কোনো প্রকার আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করেছিলেন কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে আরফানুল হক রিফাত বলেন, ‘আমরা আলাপ-আলোচনা করেছি। তবে এতো দ্রুত এমন কিছু ঘটে যাবে তা স্বপ্নেও ধারনা করতে পারিনি। আমরা এই ঘটনায় দায়ীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টিন্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।’
কাউন্সিলর সোহেলসহ জোড়া খুনের ঘটনায় এজাহারভুক্ত আসামি মাসুমের সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছে পুলিশ শুক্রবার এই আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নগরীর চকবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক কায়সার হামিদ।
তিনি জানান, শুক্রবার বিকেল ৪টায় ৮ নম্বর আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শামসুর রহমান আমাদের আবেদন গ্রহণ করেন। শনিবার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য্য করবে আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মাসুমকে জেলার চান্দিনা বাসস্ট্যান্ড থেকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা গ্রেপ্তার করে,পরে আসামি মাসুমকে কারাগারে পাঠানো হয়। ।
আয়েশা আক্তার/অননিউজ24