ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় র্দীঘ প্রায় ১৫ মাস পর জামিনে কারামুক্ত হয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরা। মুক্তির পর তিনি দাবি করেছেন, তার সঙ্গে অন্যায় হয়েছে।
সোমবার (২০ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।
মুক্তির পর খাদিজা কাশিমপুর কারাগারের প্রধান ফটকের সামনে বলেন, আমার সঙ্গে অন্যায় তো হয়েছেই। বিনাদোষে আমি প্রায় ১৫ মাস জেল খাটলাম। এর চেয়ে বেশি কিছু বলার মানসিকতা এখন আমার নেই।
তিনি বলেন, কারাগারে নামাজ পড়ে, রোজা রেখে আর লেখাপড়া করে সময় কাটিয়েছি। আজকে আমার স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা। তাই এখান থেকে সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে পরীক্ষায় অংশ নেব।
এর আগে, গত ১৬ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ খাদিজাকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রাখেন।
প্রসঙ্গত, খাদিজাতুল কুবরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষার্থী। অনলাইনে সরকারবিরোধী বক্তব্য প্রচার এবং দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণের অভিযোগে ২০২০ সালের অক্টোবরে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর কলাবাগান ও নিউমার্কেট থানায় পৃথক মামলা করে পুলিশ। মামলার অভিযোগপত্র দেওয়ার পর ২০২২ সালের ২৭ আগস্ট খাদিজাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়ার পর গত প্রায় ১৫ মাস ধরে কারাগারে থাকায় দুটি সেমিস্টারের পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি খাদিজা। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুই মামলায় তার স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট। পরে জামিনের বিরুদ্ধে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।
এফআর/অননিউজ