কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এনালিষ্ট শামসুজামানের বিরুদ্ধে সনদ বাণিজ্যের অভিযোগ

বাগমারা প্রতিনিধি।।

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের কম্পিউটার সেলের সিস্টেম এনালিষ্ট এ.কে.এম শামসুজামানের বিরুদ্ধে টেলিটক আর্কাইভ ও বোর্ডের ডাটা বেজ পরিবর্তন করে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য শিক্ষার্থীর জায়গায় নতুন ব্যক্তির নামে অনলাইন, মার্কসিট ও সনদ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় বুধবার ঢাকার মোহাম্মদপুর আব্দুল হাকিম নামে এক কলেজ শিক্ষক সংশ্লিষ্ট শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সচিব বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সিস্টেম এনালিষ্ট এ.কে.এম শামসুজামান প্রতি বছর এসএসসি (ভোক: ও দাখিল) এবং এইচএসসি (বি.এম) পরীক্ষার আগে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কাছে থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা বানিজ্য করে থাকেন। কোনো প্রতিষ্ঠানের যে সব শিক্ষার্থী নবম শ্রেনী পাস করার পর আর পড়াশোনা করে না সে সব শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন নাম্বারে আগের নাম রিপ্লে´ করে অন্য শিক্ষার্থীর নাম সংযোজন করে সরাসরি এসএসসি (ভোক: ও দাখিল) এবং একাদশ শ্রেণীর পর এইচএসসি (বি.এম) পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করিয়ে দেন। এতে প্রতি কাজের বিনিময়ে তিনি ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকেন। আর এই টাকা বিকাশ, রকেট ও নগদসহ বিভিন্নভাবে নেওয়া হয়। এর আগে ২০১৭ সালে শামসুজামান জালিয়াতির দায়ে চাকুরিচ্যুত হয়েছিলেন। পরে হাইকোর্ট ও অদৃশ্য শক্তির মাধ্যমে তিনি চাকরী ফিরে পান। এরপর তিনি আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠেন। অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, টেলিটক সার্ভারের যেখানে অনলাইন আর্কাইভের তথ্য সংরক্ষন করা হয়, সেখানে কোন ডাটা পরিবর্তন করলে লগ থাকে এবং কবে, কোন সময়, কি ডাটা পরিবর্তন করা হয়েছে তার প্রমানও সেখানে থেকে যায়। এতে প্রমাণ মিলে শামসুজামানের দায়িত্বে প্রায় ৩ থেকে ৪ হাজার শিক্ষার্থীর ডাটা রিপ্লে´ করা হয়েছে। টেলিটক আর্কাইভ সিস্টেমে প্রতিটি বোর্ডের জন্য একটি করে ইউজার অথেণ্টিকেশন দেওয়া রয়েছে, যা সংশ্লিষ্ট বোর্ডের শুধুমাত্র সিস্টেম এনালিষ্ট এর কাছে সংরক্ষিত থাকে। তাই সিস্টেম এনালিষ্ট ব্যতিত অন্য কারো পক্ষে অনলাইনে তথ্য কোন সুযোগ নাই।

এদিকে একেএম শামসুজামানের সার্টিফিকেট বিক্রি ও সাইবার সিকিউরিটির ব্যাপারে তদন্তের জন্য গত ১ নভেম্বর সংশ্লিষ্ট শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের উপ-সচিব আনিসুল ইসলামের স্বাক্ষরিত একটি পত্র দেওয়া হলেও অদৃশ্য কারণে তা বন্ধ হয়ে যায় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় তদন্ত না করে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের উপর দায়িত্ব অর্পন করা হয়। এর প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল গত ১৯/১১/২০২৩ ইং তারিখে তথ্য সংগ্রহের জন্য আরও একটি পত্র প্রেরণ করা হয়। পত্রে শামসুজামানসহ আরো ৪ জনকে ২১/১১/২৩ ইং তারিখ বিকাল ৩ টায় বিজিডি ই-গভ সার্ট, প্রকল্প পরিচালকের কার্যালয়ে উপস্থিত হওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলেও তার কোন কার্যকারিতা দেখা যায়নি।

এই ঘটনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে ব্যাপক ফলাও করে একাধিক সংবাদ প্রচার হলেও এই দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার দুর্নীতি কিছুতেই থামছে না।

আরএইচ/অননিউজ

আরো দেখুনঃ