কার ভরসায় মেয়েকে স্কুলে পাঠাবো

সুভাষ বিশ্বাস, নীলফামারী ।

কার ভরসায় মেয়েকে স্কুলে পাঠাবো। আমি আর মেয়েকে পড়া শুনা করাবোনা স্কুলেও পাঠাবোনা। এমনই আক্ষেপ করে কথা গুলো বললেন ক্ষোভে লজ্জায় স্কুলে না আসা হাসিনার (ছদ্দনাম) মা পারভীন বেগম।

নীলফামারী সদর উপজেলার গোড়গ্রাম ইউনিয়নের মাঝপাড়া কলোনী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেনীর ছাত্রী হাসিনা (ছদ্দনাম)। গত বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান শিক্ষক আবুল বাশার তাকে স্কুলে ডেকে নিয়ে যায়। ছাদের উপরে ট্যাংকিতে পানি উত্তোলনের কথা বলে এক পর্যায়ে ওই শিক্ষার্থীর কোমড়ে দু’হাত দিয়ে চেপে ধরে।

মেয়েটি শিক্ষকের হাতে ঘুষি মেরে দৌড়ে বাড়ী পালিয়ে এসে বাড়ীর লোকজনকে জানায়। পবিবারের অপর সদস্যসহ এলাকাবাসী বিদ্যালয় ঘেরাও করে প্রধান শিক্ষকের রুমে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে প্রধান শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখেন। সন্ধ্যায় ৯৯৯ এ ফোন দিলে থানা পুলিশ এসে প্রধান শিক্ষককে থানায় নিয়ে আসে এবং আদালতে সোপর্দ্দ করেন বলে জানান, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রউপ।

তবে হাসিনার মা অভিযোগ করে বলেন, গ্রোড়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহাবুব জজ ও পাশ্ববর্তী খোকশাবাড়ী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আশাফউদ্দৌলা সিদ্দিকি খোকনসহ এলাকার কতিপয় ব্যক্তি বৃহস্পতিবার আমার স্বামী রবিউল ইসলামকে থানায় নিয়ে যান এবং ওই লম্পট শিক্ষককে ছেড়ে দেয়ার ব্যবস্থা করেন। ঘটনাটি বিলম্বে জেনে স্থানীয় সাংবাদিকরা ছুটে গিয়ে দেখতে পায় মেয়েটি শনিবার স্কুলে আসেনি।

এব্যাপারে উক্ত প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জহুরুল আলম জানান, আমি আমার প্রতিষ্ঠানে সারাদিন ছিলাম। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারি। এলাকাবাসীর হাত থেকে প্রধান শিক্ষককে বাচাঁতে পুলিশ তাকে থানায় নিয়ে যায়। এব্যাপারে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার আরমানা জাহান সিদ্দিকা জানান, বিষয়টি আমি জেনেছি এবং আমার উর্দ্ধতন কর্মকর্তাকে অবহিত করেছি। এঘটনায় এলাকার অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নবেজ উদ্দিন জানান, একজন শিক্ষক কোন ভাবেই কোন শিক্ষার্থীর গায়ে হাত দিতে পারেননা। বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখছি।

আরো দেখুনঃ