খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে হঠাৎ আসা কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গাছপালা ভেঙে পড়ায় চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়ক যোগাযোগ চার ঘন্টা বন্ধ ছিল। এছাড়া দীঘিনালায় বজ্রপাতে মা ও ছেলেসহ দুই জন ও রামগড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
নিহত মায়ের নাম হাসিনা আক্তার (৩২) ও ছেলে আবু হানিফ(৬)। রোববার ভোর পৌনে ৫ টার দিকে উপজেলার মধ্যবেতছড়ি গোরস্থান পাড়ায় এঘটনা ঘটে। এসময় সঙ্গে থাকা হাফিজ (১১) প্রাণে বেঁচে যান।এছাড়া এনজয় মারমা নামে রামগড়েও একজন মারা যান বজ্রপাতে।
জানা যায়, রোববার ভোর পৌনে পাঁচটার দিকে আকাশে গর্জনসহ বৃষ্টি শুরু হলে হঠাৎ বজ্রপাত শুরু হয়। এসময় একটি বজ্রপাত ছাদেক মিয়ার বসতঘরে পড়লে ঘরে থাকা হাসিনা আক্তার ও ছেলে আবু হানিফ বজ্রপাতে পুড়ে কঙ্কাল হয়ে যায়। এঘটনায় পুরো এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। ঘটনার পর খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্হলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং নিহতদের লাশ উদ্ধার করে।
নিহতের ভাসুর আবদুর রহিম জানান, ভোর ৫ টার দিকে আমরা বাড়ি থেকে একটু দূরে ধান মাড়াইয়ের কাজ করছিলাম। হঠাৎ করে ছাদেক মিয়ার বসতঘরে বজ্র পড়ে। এসময় পুরো ঘরে আগুন লেগে যায়। এঘটনায় ছোট ভাই ছাদেক মিয়ার স্ত্রী হাসিনা আক্তার ও তার ছেলে আবু হানিফ নিহত হয়।
দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুরুল হব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বজ্রপাতে মা ও ছেলে নিহত হয়েছে, তবে লাশ চেনার উপায় নেই।
রোববার ভোর পৌনে ৫টার দিকে কালবৈশাখী কাঁচা ঘরবাড়ীর ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। গাড়ীটানা এলাকায় সড়কের উপর গাছ পড়ে প্রায় ৪ঘন্টা খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। ফায়ার সার্ভিসের কর্মী সকাল ৯টার দিকে গাছ সরালে যানবাহন চলাচল শুরু হয়।