অগ্রনী ব্যাংকে জাল কাগজপত্র তৈরি ও মৃত ব্যক্তিদের নামে ভুয়া ঋণ তুলে প্রায় দুই কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনায় সাময়িক
বরখাস্তকৃত ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুস সালাম ও কর্মচারী আজির আলীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত। বৃহস্পতিবার
ঝিনাইদহ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক মোঃ আল আমিন মাতুব্বর তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে
পাঠান। আসামী আব্দুস সালাম ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার ভেড়াখালী গ্রামের আব্দুল গনি বিশ্বাসের ছেলে। অন্যদিকে আজির
আলী কালীগঞ্জ উপজেলার কাশিপুর গ্রামের আব্দুল বারিক মন্ডলের ছেলে। ঝিনাইদহ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের পেশকার
মানিরুল ইসলাম খবর নিশ্চিত করে জানান, আসামী আব্দুস সালাম ও আজির আলী সিআর ১৫৩/২২, ৩৬৮/২২ ও ৩৭৫/২২ মামলায় উচ্চ
আদালত থেকে ৬ সপ্তার জামিনে ছিলেন। বৃহস্পতিবার আসামীদের জামিন মেয়াদ শেষ হলে তারা ঝিনাইদহ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন।
বিজ্ঞ আদালতের বিচারক তাদের জামিন আবেদন বাতিল করে কারাগারে পাঠিয়ে দেন। জানা গেছে, অগ্রনী ব্যাংক কালীগঞ্জ
শাখার ব্যবস্থাপক শৈলেন বিশ্বাস, ক্যাশ অফিসার আব্দুস সালাম ও মাঠ কর্মী আজির আলী গ্রাহকের নামে ভুয়া ঋন দেখিয়ে প্রায়
দুই কোটি টাকা আত্মসাত করেন। এ বিষয়ে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জের মনোহরপুর গ্রামের ইন্তাজ আলী, একই উপজেলার
পুকুরিয়া গ্রামের আইনুল ইসলাম ও বদর উদ্দীন আদালতে মামলা দায়ের করেন। ২০২০ সালে ২৯ সেপ্টেম্বর ঋণ জালিয়াতির দায়ে
সাময়িক বরখাস্ত হন ব্যবস্থাপক শৈলেন বিশ্বাস ও ক্যাশ অফিসারআব্দুস সালাম।
এছাড়া মাঠ কর্মী আজির আলীকে চাকরীচ্যুতি করা হয়। এ বিষয়ে পত্রিকায় তথ্য ভিত্তিক সংবাদ প্রকাশিত হলে
আব্দুস সালাম ও আজির আলী বাদী হয়ে জেলার সিনিয়র সাংবাদিক আসিফ কাজল ও দৈনিক যুগান্তর প্রতিনিধি শাহরিয়ার আলম
সোহাগের বিরুদ্ধে আদালতে মানহানি মামলা করেন।