বঙ্গবন্ধু জাতীয় ১৩তম কিকবক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপ- ২০২২ এ দুই ক্যাটাগরিতে হাড্ডা লড়াই করে তিনটি স্বর্ণ পদক ও একটা রৌপ্য ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করেছে পঞ্চগড়ের মেয়ে তাবাসসুম তারিন ও ফাতেমা আক্তার লাকি।
শনিবার (২৯ অক্টোবর) ফাইনালের দিন লড়াই শেষে রাতে ঢাকার মোহাম্মদ আলী বক্সিং স্টেডিয়ামের আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে পদকগুলো গ্রহণ করে তারা। এর আগে ফাইনালে কে-১ প্রফেশনাল ও ওপেন ক্যাটাগরিতে লড়াই করে এই দুই বক্সার।
জাতীয় কিক্বক্সিংয়ে লড়াই করে এই প্রথম গোল্ড ও ব্রোঞ্জ অর্জন করে নিয়ে আসে তারা। তাবাসসুম তারিনের বাড়ি পঞ্চগড়ের রাজনগর এলাকায়। ফাতেমা আক্তার লাকির বাড়ি পঞ্চগড়ের ডোকরোপাড়া এলাকায়।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী হয়ে প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করতে ঢাকায় যুক্ত হয় তারা। বঙ্গবন্ধু জাতীয় ১৩তম কিকবক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপ- ২০২২ এর ফাইনালের কে-১ প্রফেশনাল প্রথম রাউন্ডে ঢাকা ও বরিশাল'কে হারিয়ে এবং ২য় রাউন্ড অপেন ক্যাটাগরিতে ঢাকা'কে হারিয়ে তাবাসসুম দুটি গোল্ড পদক অর্জন করে। এদিকে ফাতেমা আক্তার লাকি দুই ইভেন্টেই ময়মনসিংহ'কে হারিয়ে ১টি গোল্ড ও একটি ব্রোঞ্জ অর্জন করে।
তাবাসসুম তারিন জানান, এবারই প্রথম বঙ্গবন্ধু জাতীয় ১৩তম কিকবক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপ- ২০২২ এর ফাইনালে কে-১ প্রফেশনাল ক্যাটাগরিতে মেয়েরা খেলতে পারছে। সেই সুবাধে আনসার বাহিনীর হয়ে আমরা দুজনে খেলেছি। এবং গোল্ড পদক এবং ব্রোঞ্জ অর্জন করেছি। আশা করি সকলের দোয়ায় সামনে আরও এগুতে পারবো।
আরেক বক্সার ফাতেমা আক্তার লাকি জানান, এ লড়াইটি অনেকটাই কঠিন ছিল কিন্তু সব পরাজয়কে হার মানিয়ে সামনে এগিয়ে গিয়ে পঞ্চগড়ের জন্য এই তিনটি গোল্ড ও ব্রোঞ্জ অর্জন করেছি আমরা।
জানা যায়, ২৯টি ইভেন্টে ১২০টি পদকের জন্য লড়েছেন শতাধিক বক্সার। এর মধ্যে ৩০টি স্বর্ণ ও রুপা এবং ৬০ টি ব্রোঞ্জ পদকের জন্য লড়াই করে বক্সাররা। এবারই প্রথম কিকবক্সিংয়ে কে-১ প্রফেশনাল লড়াইয়ে অংশ নিয়েছেন পঞ্চগড় জেলার এই দুই মেয়ে।