সুমাইয়া খাতুন (১৬) নামের এক কিশোরীকে উদ্ধার করতে গিয়ে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া মডেল থানার দুই কর্মকর্তাসহ পুলিশের চার সদস্য আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে তাড়াশ থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত ৪ পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। শুক্রবার রাতে তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের পৌংরোহালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- উল্লাপাড়া মডেল থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো. শহিদুল ইসলাম, এএসআই জুয়েল মিয়া, কনস্টেবল মো. রায়হান শলীফ এবং নারী কনস্টেবল পাপিয়া খাতুন।
তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, উল্লাপাড়া মডেল থানার ২ কর্মকর্তাসহ ৪ পুলিশ সদস্যকে মারধরের ঘটনায় উল্লাপাড়া মডেল থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মো. শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয়ে ১৫-২০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার গজাইল গ্রামের মো. শাহিন মন্ডল বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) উল্লাপাড়া মডেল থানায় তার মেয়ে সুমাইয়া খাতুন নিখোঁজ হয়েছে বলে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে উল্লাপাড়া থানা পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তায় জানতে পারে নিখোঁজ কিশোরী তাড়াশ উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের পৌংরোহালী গ্রামে মো. আফজাল হোসেনের বাড়িতে রয়েছে। পরে উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশ পৌংরোহালী গ্রামে মো. আফজাল হোসেনের বাড়িতে কিশোরীকে উদ্ধারে অভিযান চালায়। এ সময় মো. আফজাল হোসেনের ছেলে রুবেল আহম্মেদ (২৯), আব্দুর রহিম (২৬) ওই বাড়ির নারী সদস্যসহ অজ্ঞাত ১৫-২০ জন পুলিশের ওপর হামলা চালায় এবং সুমাইয়াকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পরে খবর পেয়ে তাড়াশ থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে হামলার শিকার পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ সময় রুবেল আহম্মেদ, আব্দুর রহিম, রেনুকা পারভীন ও সুমাইয়া খাতুনকে আটক করা হয়।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, আটক হওয়াদের শনিবার বিকেলে সিরাজগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
সূত্রঃসময়কাল
একে/অননিউজ24