সাতক্ষীরার শ্যামনগরে কিশোরীকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করে নিয়মিত প্রতারণার অভিযোগে শহিদুল ইসলাম আবির (৫০) নামের এক ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৩ জুন) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এরা আগে সোমবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শহিদুল ইসলাম আবির শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও একই এলাকার শফিকুল ইসলাম সরদারের ছেলে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্যামনগর থানার উপপরিদর্শক মো. শাখায়েতুল ইসলাম জানান, ভুক্তভোগী কিশোরীর নানি বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে সোমবার শ্যামনগর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন হাসানুল ইসলাম, সামছুদ্দিন (৪০) ও আবু নাইম (২২)। তারা দাতিনাখালী গ্রামের শহিদুল্লাহ গাজী ও ফিরোজ সরদারের ছেলে।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তার আবির প্রায়ই ভুক্তভোগীকে উত্ত্যক্ত করতেন। এর একপর্যায়ে ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর রাতে ভুক্তভোগীকে জুসের সঙ্গে চেতনানাশক মিশিয়ে খাওয়ান ইউপি সদস্য। পরে তাকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করা হয়। ধারণ করা ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে সামছুদ্দীন ও আবু নাইমও ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করেন। সাম্প্রতিক অন্য একজনের মাধ্যমে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়।
শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নুরুল ইসলাম বাদল বলেন, প্রধান আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এফআর/অননিউজ