শান্তি মিত্র সমাজকল্যাণ সংস্থা'র প্রকল্পের আওতায় ময়মনসিংহে কিশোর -কিশোরী ও সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে শিক্ষা ও মানবাধিকার বিষয়ক সংলাপ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
০৫ ডিসেম্বর ( মঙ্গলবার) বেলা ১১ টায় নগরীর ভাটিকাশ্বর হোমরিক হলরুমে সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর শিক্ষা ও অধিকার উত্তরণ প্রকল্প ( পার্ম) এর আয়োজনে প্রতিবন্ধী কমিউনিটি সেন্টার ( পিসিসি) এর একটি প্রকল্পের আওতায় কিশোর কিশোরী ও সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে শিক্ষা ও মানবাধিকার বিষয়ক সংলাপ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ পরিচালক নাজনীন সুলতানা, সমাজসেবা কর্মকর্তা তাহমিনা নাসরিন, ময়মনসিংহ সদর উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ রমিজ উদ্দিন আলম, ময়মনসিংহ কারিগরি প্রশিক্ষন কেন্দ্র্রের প্রতিনিধি হিসেবে রীতা রায়।
শান্তি মিত্র সমাজকল্যাণ সংস্থা এর নির্বাহী পরিচালক সুবর্ণা পলি দ্রং এর সঞ্চালনায় সংলাপ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রতিবন্ধী কমিউনিটি সেন্টার( পিসিসি) নির্বাহী পরিচালক মি: সিলভেষ্টার গমেজ।
এছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীগন ও শিক্ষক এবং সাংবাদিকবৃন্দ।
সংলাপ অনুষ্ঠানে শুরুতেই শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন পিসিসি এর প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মি: রাজন বীন।
সংলাপ অনুষ্ঠানে কিশোর- কিশোরীদের শিক্ষা গ্রহণ এবং প্রতিবন্ধকতা সম্পর্কে ধারণা ও উত্তরণের বিষয়ে আলোচনা করা হয়। শিক্ষা ও মানবাধিকার বিষয় ছাড়াও বেকার যুবক -যুবতীদের বিভিন্ন ট্রেনিং গ্রহণ এবং বেকারত্ব দূরীকরণে সরকারি সেবা গ্রহণ সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য - শান্তি মিত্র সমাজকল্যাণ সংস্থা একটি অলাভজনক বেসরকারি সংস্থা যা ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। শান্তি মিত্র প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই প্রাথমিক বিদ্যালয়গামী চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র - ছাত্রীদের সাথে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। বর্তমানে ময়মনসিংহ নগরীর তিনটি বিদ্যালয়ে ( বলাশপুর আবাসন প্রকল্প প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরবীনপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়,আব্দুল আজিজ মুন্সি প্রাথমিক বিদ্যালয়) শান্তি শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ২০ জন ফ্যাসিলিটেটরকে শান্তি ক্লাস প্রস্তুতি কর্মশালা প্রদান এবং ৩০ জন যুবক যুবতীদের শান্তি কর্মী গড়ে তুলতে মাসিক কর্মশালা প্রদান করা হয়। এছাড়াও অভিভাবকদের জন্য শান্তি স্থাপন ও দ্বন্দ্ব নিরসন বিষয়ক কর্মশালা প্রদান, শিক্ষকদের জন্য শান্তি কর্মশালা প্রদান, আন্তর্জাতিক শান্তি দিবস উদযাপন, শান্তি বাগান ও শান্তি পাঠাগার তৈরি সহ শান্তি ও ন্যায্যতা উৎসব করা হয়। ব্যক্তিজীবনকে সমৃদ্ধ ও সামাজিক সমন্বয় বিষয় শিক্ষা, বন্ধুত্ব ও বোঝাপড়া বৃদ্ধি সহ ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে উঠতে এবং সকলের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধিতে শান্তি শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।