কুড়িগ্রাম চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিএনপির দায়েরকৃত মামলায় চিলমারীর রানিগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামিলীগ নেতা মণ্জুরুল ইসলাম আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মজনু মিয়া তা না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। সোমবার দুপুরে চিলমারী আমলী আদালতের বিজ্ঞ বিচারক এ আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিনহাজুল ইসলাম।
চিলমারী কোর্ট পুলিশ এস আই রানা মিয়া মামলার এজাহারের বরাতে বলেন, গত ৩০ আগস্ট রাণিগঞ্জ ইউনিয়নের ফকিরের বাজারের চৌরাস্তা মোড়ে সাংগঠনিক বৈঠকে বসেন বিএনপির স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। এ সময় রাণিগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ও নয় নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, এক নম্বর ওয়ার্ড আ' লীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদিন, দুই নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বাচ্চু মিয়াসহ একদল সন্ত্রাসী দেশী অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালায়।
এতে বিএনপি কর্মী মোনারুল ইসলাম, দুলাল মিয়া, লুৎফর রহমান,কপিল উদ্দিনসহ ছয় জন আহত হন। হামলায় মোনারুল ইসলাম গুরুত্বর আহত হলে তার মাথায় আটটি সেলাই দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় গত চার সেপ্টেম্বর রাণিগঞ্জ ইউনিয়নের যুবদলের সভাপতি ও তিন নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আসলাম মিয়া বাদী হয়ে ১১জনকে আসামি করে চিলমারী থানায় মামলা করেন।
মামলার বাদী আসলাম মিয়া জানান, হাসিনার সরকারের পদত্যাগের পর রাণিগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপিতে সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে আমরা বৈঠকের আয়োজন করি। তারা আমাকে উদ্দেশ্য করে দেশি অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়। সেখানে উপস্থিত নেতাকর্মী আমাকে রক্ষা করতে গেলে আহত হয়। এজন্য আমি বাদী হয়ে মামলা করেছি। আমি ন্যায় বিচার চাই।
চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিনহাজুল ইসলাম বলেন, আদালতের বিষয়টি শুনেছি। চেয়ারম্যান যেহেতি জেলহাজতে তাই ওনার অনুপস্থিতে প্যানেল চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন।
শাহীন আহমেদ, কুড়িগ্রাম।