কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে অবৈধভাবে চলছে বালুলুটের মহোৎসব। শত শত একর ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন।

শাহীন আহমেদ, কুড়িগ্রাম।

কুড়িগ্রামের উলিপুরে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে অবৈধভাবে চলছে বালুলুটের মহোৎসব। শত শত একরফসলি জমি ধ্বংস। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ব্লকের সাইড হুমকির মুখে
অভিযোগ সূত্রে, সরজমিন গিয়ে দেখা গেছে, কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলাধীন ১১ নং হাতিয়া ইউনিয়নের হাতিয়া ভবেশ মৌজার সংলগ্ন ব্রহ্মপুত্র নদ হতে শত শত ট্রাক্টর দিয়ে অবৈধভাবে আবাদি জমি কেটে বালু উত্তোলন ও বিক্রি চলছে। এতে করে ওই এলাকার শত শত একর আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। সেখানে গিয়ে দেখা গেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ কাজ প্যাকেজ নং p03/17শেষ হয়েছে। যাহার কারণে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হইয়া জমিগুলোতে দিয়ে আবাদের উপযোগী চড়ে পরিণত হয়েছে। এখানকার সাধারণ কৃষকগণ উক্ত জমিগুলোতে বিভিন্ন ধরনের ফসল যেমন ধান ভুট্টা বাদাম ইতিমধ্যে চাষাবাদ শুরু করেছে। এমতবস্থায় ওই মৌজার মৃত নুরুল হোসেনের পুত্র নজরুল ইসলাম বাবুর নেতৃত্বে শত শত ট্রাক্টর দিয়ে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে অবৈধভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধের সাইডের ব্লকের উপর দিয়ে ট্রাক্টর চালিয়ে দেধারছে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে। এতে করে যেমন ফসলী জমি ধ্বংস হচ্ছে তেমনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নদী প্রতিরোধ কাজের পিসিং ও ডাম্পিং হুমকির মুখে পড়ছে
এলাকাবাসীরা বাঁধা প্রদান করলে উক্ত বালুর সিন্ডিকেট ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বাবুর নেতৃত্বে সাধারণ এলাকাবাসীদের মারমুখী হয়ে ওঠেন। এমতোবস্তায় সাধারণ কৃষকরা গত ১৯-১২৫ ইং তারিখে উলিপুর উপজেলা ভূমি কমিশনার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উলিপুর সদর থানা ও জেলা প্রশাসক বরাবরে বালু উত্তোলন বন্ধে ওই এলাকার শত শত কৃষক এলাকাবাসী স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ দাখিল করে
অভিযোগের পরেও গত একমাস অতিবাহিত হলেও প্রশাসনের কোন পদক্ষেপ না থাকায় বালু উত্তোলন বন্ধ হচ্ছে না।
এমতোব্সতায় কৃষকরা আবারো গত ১১/২/২৫ তারিখে বিভাগীয় কমিশনার রংপুর বিভাগ রংপুরকে একটি অভিযোগ দাখিল করে। অভিযোগ দাখিল করার পরেও বন্ধ হচ্ছে না বালু উত্তোলনের মহোৎসব।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ও এলাকাবাসী বলেন অবৈধভাবে বালুর উত্তোলনের ফলে ফসলি জমির পাশাপাশি আমাদের বাড়িঘর ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের ব্লকের কাজের অবস্থা হুমকির মুখে পরেছে।
এব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহীর প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান জানান, আমি অভিযোগ পেয়ে উপ-সহকারী প্রকোশলীক নির্দেশ দিয়েছি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।
উলিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নয়ন কুমার সাহা বলেন অভিযোগের ভিত্তিতে হাতিয়ায় গত ১৬/২/২০১৫ তারিখে মোবাইল কোড বসিয়ে অভিযান পরিচালনা করে দুজনকে গ্রেফতার করে দুই মাসের জেল দিয়েছি ও দুটি ট্রাক্টর আটক করা হয়েছে। নিয়মিত এ অভিযান চলমান থাকবে।

আরো দেখুনঃ