উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা কুড়িগ্রামে কয়েকদিন ধরে সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত পড়ছে প্রচন্ড কুয়াশা,বইছে হিমেল হাওয়া। শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষ।
রোববার (১১ ডিসেম্বর) সকালে কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিস জানায়, আজ সকাল ৬ টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪.৮ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জেলায় কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশ বিরাজ করছে। কুয়াশায় ঢেঁকে থাকছে গোটা জনপদ। দেখা মিলছে না সূর্যের। শীতবস্ত্রের অভাবে বিপাকে পড়েছে নদ নদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপ চরের খেটে খাওয়া মানুষজন। বেশি প্রয়োজন ছাড়া বাহির হচ্ছে না কেউ । নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি থেকে জেলায় শীত অনুভুত হচ্ছে। ধীরে ধীরে এর তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় গত এক সপ্তাহ থেকে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে মধ্যে উঠানামা করছে। আজ ১১ ডিসেম্বর ১৪.৮ ডিগ্রীতে নেমেছে।
শীত নিবারনের জন্য মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ করলেও নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া ও শ্রমজীবী মানুষগুলো শীতবস্ত্র সংগ্রহ নিয়ে বিপাকে পড়েছে । তারা মৌসুমী শীতের পুরাতন কাপড়ের দোকানে ভিড় করছে।
সদরে নৌকা মাঝি ফারাজি বলেন কয়েকদিন থেকে খুবই কুয়াশা কারনে ঠিক মত নৌকা চালাতে পারছি না, সময় লাগছে বেশি।পরিবার নিয়ে কষ্টে অাছি।রাস্তা দেখা যায় না।সড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে গাড়ী। প্রতিদিন হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত রোগ।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, শীতার্ত মানুষের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে ইতিমধ্যে ৯ উপজেলা ও ৩ পৌরসভায় ৩১ হাজার কম্বল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ত্রাণ ভান্ডারে মজুদ রয়েছে আরও ১৫ হাজার কম্বল।প্রয়োজনে আরো চাহিদা দেওয়া হবে।
কুড়িগ্রাম রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, আজ সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪..৮ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা আগামীতে আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী২০(ডিসেম্বর) পর এই অঞ্চল শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে । তবে আপাতত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই।
এফআর/অননিউজ