কুড়িগ্রাম কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা এবং অনৈতিক অর্থ লেনদেনের অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুড়িগ্রাম জেলা শাখার ১জন রোকন ও ১ জন কর্মীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
জামায়াত কুড়িগ্রাম শহর শাখার ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। অন্যদিকে অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম ও শনিবার (৩ মে) সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বহিষ্কৃত দুজন সদস্য হলেন– জামায়াতের রোকন জাহেদুল ইসলাম জুয়েল এবং কর্মী রাজু আহমেদ। তারা দুজনই জামায়াতের কুড়িগ্রাম শহর শাখার দায়িত্বশীল পদে ছিলেন।
দলীয় সুত্রে জানা যায়, কুড়িগ্রাম কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে কলেজটির বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিলে হামলা এবং বিভিন্ন সামাজিক কাজের নামে অনৈতিক অর্থ লেনদেনের অভিযোগে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, মো. জাহেদুল ইসলাম জুয়েল কুড়িগ্রাম শহর জামায়াতের রোকন এবং রাজু আহমেদ সক্রিয় কর্মী ছিলেন। কিন্তু গত ১৩ এপ্রিল সোশ্যাল মিডিয়ায় “সমকামী হারুনকে রক্ষায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে জামায়াতের পরিচয়ধারী কিছু কর্মী” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করে জামায়াত। তদন্ত কমিটির তদন্তে ওই ঘটনার সাথে তাদের সম্পৃক্ততা এবং বিভিন্ন সামাজিক কাজে অনৈতিক অর্থ লেনদেনের সত্যতা পাওয়া যায়। যা সংগঠনের শৃঙ্খলা ও নৈতিকতা পরিপন্থি। এ কারণে শহর কর্মপরিষদের সুপারিশে এবং ১ মে জেলা কর্মপরিষদ বৈঠকের অনুমোদনে জাহেদুল ইসলাম জুয়েল ও রাজু আহমেদকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়।সুতরাং তাদের সঙ্গে জামায়াতের সব জনশক্তিকে সম্পর্ক না রাখার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।
জামায়াতের শহর শাখার ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম জানান, অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হওয়ায় সংগঠনের সিদ্ধান্ত মোতাবেক অভিযুক্ত জাহেদুল ইসলাম জুয়েল ও রাজু আহমেদকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এদিকে গত ৩রা মে কুড়িগ্রামে এবি পাটির ৫ম প্রতিষ্ঠা পালন ও সাংবাদিকের সাথে মতবিনিময় কালে জামায়াত থেকে বহিস্কৃত এই দুই জন এবি পাটিতে যোগদান করেন।