কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা এলজিইডির আওতায় প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তার কাজে পুকুর চুড়ির অভিযোগ উঠেছে। কাজ না করে বিল উত্তোলন করে নিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কাজের ঠিকাদার। এলাকাবাসীদের চলাচলে পড়তে হচ্ছে চরম বিপদে।
এলাকাবাসীদের অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা এলজিইডির আওতায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১ কোটি ৫২ লাখ টাকা ব্যয়ে(আই আর আই ডি পি-৩)প্রকল্পের আওতায় কুড়িগ্রাম সদর উপজেলাধীন পাঁচগাছি ইউনিয়নের জালালের মোড় থেকে ওয়াবদা বাজার গামী চেইনেজ ১৬৫০ মিটার থেকে ৩৫০০ মিটার পযন্ত ১৮৫০ মিটার কাঁচা রাস্তা পাকা করনের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। দরপত্রে শামীম হোসাইন নামের এক ঠিকাদার কাজটি পান। কাজ পাওয়ার পড় কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আতিয়ার রহমান ও উপজেলা প্রকৌশলী রিশাদ জামান মিলে প্রকৃত ঠিকাদারকে কাজটি করতে না দিয়ে তার কাছ থেকে কাজটি তাদের মনোনিত উলিপুরের মাসুদরানা নামের এক ঠিকাদারকে নিয়ে দেন।
একটি সুত্র থেকে জানাগেছে সেই কাজটিতে উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আতিয়ার রহমানের শেয়ার রয়েছেন। তারা ঠিকাদারের সাথে আতাত করে মিলে মিসে কাজটি করেছেন বলে জানা গেছে। কাজটি শুরু হয়ে ডাব্লিউ বিএম পযন্ত করলেও তার পড় গত ১ বছরে আর আলোর মুখ দেখেনি। এলাকাবাসিদের আরো অভিযোগ উক্ত কাজে যেন তেন ভাবে কাজটি করা হয়েছে। সেখানে কাজের গুনগত মান ও প্রমোশন সঠিক ছিল না। এবং উক্ত কাজে কিছু কিছু জায়গায় গাইড ওয়ালের কাজ ছিল, যা ডিজাইন অনুযায়ী করা হয়নি।
উক্ত গাইড ওয়ালের খুটি গুলোতে ১২ মিলি রডের পরিবর্তে ১০ মিলি রড ব্যবহার করা হয়েছে। এবং গাইড ওয়াল গুলো ডিজাইনের চেয়ে সট করা হয়েছে। কাজটি ২০২৩ সালের জুলাই মাসে ডাব্লিউ বিএম পযন্ত করা হলেও আর এগোতে পারেনী। ফলে এলাকাবাসীরা পরেছে চরম বিপদে। তাদের চলাচলে পোহাতে হচ্ছে নানান বিড়ম্বনায়। এদিকে উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আতিয়ার রহমানের প্রত্যক্ষ মদদে ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে উক্ত কাজের কাপের্টিং না করে কাপের্টিং এর বিল উত্তোলন করে নিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কাজের ঠিকাদার। এলাকাবাসীর প্রশ্ন যে কাজে কাপের্টিং করা হয়নি সেই কাজের বিল কিভাবে দিলেন সদর উপজেলা প্রকৌশলী। এতে প্রমানিত হয় যে উক্ত কাজে উপ-সহকারী প্রকৌশলীর সংশ্লিষ্টতা রয়েছেন।
২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে কাপের্টিং এর বিল উত্তোলন করলেও ২০২৪ সালের অক্টোবর মাস পেরিয়ে যাচ্ছে, এই ১ বছর অতিবাহিত হলেও আজ পযন্ত উক্ত কাজের কাপের্টিং করা হচ্ছে না।এ অবস্থায় রাস্তাটি খানা খন্দে পরিনত হয়েছে। রাস্তার খোয়া উঠে গেছে,এতে এলাকাবাসীদের রাস্তা চলাচলে অনেক অসুবিধার সৃষ্টি হয়েছেন বলে জানান ভুক্তভোগী জনসাধারণ। এলাকা বাসীর দাবী রাস্তাটিতে খোয়া স্পেট করে অতি দ্রুত রাস্তাটি কার্পেটিং করে এলাকাবাসীর চলাচলের ব্যবস্থা করা জরুরী হয়ে পরেছে। উক্ত এলাকার এরশাদুল হক,সেতুমিয়া ও আলআমিন চৌধুরী বলেন, রাস্তাটি দিয়ে কুড়িগ্রাম সদর ও উলিপুরের ৫ টি ইউনিয়ন যেমন পাঁচগাছি,,সাহেবের আলগা, বেগমগঞ্জ,মোল্লারহাট,নয়ারহাটের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করে অতিদ্রুত রাস্তাটি কার্পেটিং করে জনসাধারণের চলাচলের ব্যবস্থা করতে উদ্ধর্তন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
বিষয়টি নিয়ে এলাকাবাসীরা জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবরে অভিযোগ ও স্মারকলিপি দেবেন বলে জানান ভুক্তভোগী জনসাধারণ। বিষয়টি নিয়ে সদর উপজেলা প্রকৌশলী রিশাদ জামান ও উক্ত কাজের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আতিয়ার রহমানের সাথে কথা হলে তারা বলেন কাজটি তারা তারাতারি করা হবে।
একে/অননিউজ২৪