বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী''র সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন- একদিকে ফ্যাসিবাদী হাসিনা আরেক দিকে বুক পেতে দেয়া উত্তরবঙ্গের আবৃ সাইদের নেতৃত্বে গোটা বাংলাদেশ। সেই হাসিনাকে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে হলো আর হাসিনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আবু সাইদের বাংলাদেশ বিজয়ী হলো। আবু সাইদ বীর শেষ্ঠ উপাধি লাভ করেছে। ৫ আগষ্ট রক্তাক্ত বাংলাদেশের উপর মানুষ ঈদের আনন্দ করেছে। আজকে তারা এই রক্ত দিয়ে ঋণী করে রেখে গেল। সেই ঋণ আমাদের শোধ করতে হবে। এই শহীদরা সেই দিন স্বার্থক হবে যেদিন তাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ আমরা গড়তে পারবো।
তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা দেশের বাইরে থেকে বিচারপতিদের দিয়ে, আনসারদের দিয়ে দেশে অর্ন্তবর্তীকালেন সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। প্রশাসনের রন্দ্রে রন্দ্রে ফ্যাসিবাদী আওয়ামীলীগের পেতাত্মারা ঘাপটি মেরে আছে। এসব পরিষ্কার করে দেশপ্রেমীদের নিয়োগ দিতে হবে।
দেশের নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী ড. ইউনুস সকল রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা করে রাষ্ট্র সংস্কারে যৌক্তিক সময় চেয়েছেন। জামায়াতে ইসলামসহ অন্যান্য দলগুলোও তাতে সমর্থন জানিয়েছে।
জামায়াতের সেক্রেটারী বলেন, সারা দেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন সে শহীদ পরিবারগুলো জামায়াতে ইসলামীর পরিবার। তাই আমরা তাদের দাঁড়ে দাঁড়ে যাচ্ছি। সামর্থ্য মতো সহায়তা করছি। পাশে থাকছি। আমাদের নেতাকর্মীরা সব সময় তাদের ভালোমন্দ খোঁজ খবর রাখবে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে কুড়িগ্রামের শহীদ পরিবারের সদস্যদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সোমবার বিকেলে কুড়িগ্রাম পৌর অডিটোরিয়ামে এ সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুড়িগ্রাম জেলা শাখা।
মতবিনিময় সভায় জেলা আমীর মাওলানা আব্দুল মতিন ফারুকীর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী মাওলানা আব্দুল হালিম, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুড়িগ্রামের সমন্বয়ক মো: মিনারুল হক, ছাত্র শিবিরের কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি মো: আব্দুল্লাহ আল আবিদ, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শহীদ গোলাম রব্বানীর পিতা সাইদুল ইসলাম, শহীদ রাশেদুল ইসলামের পিতা মো: বাচ্চু মিয়া, শহীদ আবু রায়হানের পিতা মো: আব্দুর রশিদ, শহীদ নুর আলমের চাচা মমিনুল ইসলামসহ অন্যান্যরা।
সভা শেষে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শহীদ ৪ জনের পরিবারের হাতে ২ লাখ টাকা করে অনুদান তুলে দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী'র সেক্রেটারীসহ অন্যান্য নেতারা।
পরে আন্দোলনে শহীদদের মাগফেরাত ও আহতদের সুস্থতার জন্য দোয়া করা হয়।
শাহীন আহমেদ, কুড়িগ্রাম।