বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত রোগমুক্তি কামনায় কুড়িগ্রামে দোয়া ও ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে আল জামিয়াতুল ইসলামিয়া নূরুল উলুম মাদরাসা মাঠে কুড়িগ্রাম-২ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদের উদ্যোগে এ ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম ২ আসনের বিএনপির প্রার্থী আলহাজ্ব সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ, প্রফেসর মাহমুদুল হক সরকার শরীফুল ইসলাম মন্ডল ও যাত্রাপুর ইউনিয়নের প্রাক্তন চেয়ারম্যান আইয়ুব আলীসহ স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ।
দিনব্যাপী এই ক্যাম্পে চিকিৎসাসেবা নিতে সকাল থেকেই ভিড় করতে থাকেন বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ, শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা। এসময় কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছী ও যাত্রাপুর ইউনিয়নের চরাঞ্চলের সহস্রাধিক মানুষজন বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা, ওষুধ ও স্বাস্থ্যপরামর্শ গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত রোগমুক্তি ও দীর্ঘায়ু কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
কুড়িগ্রাম-২ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ বলেন, মানবসেবা বিএনপির রাজনীতির অন্যতম ভিত্তি। বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনায় আয়োজিত এই ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প সেই মানবিক অঙ্গীকারেরই প্রতিফলন। চরাঞ্চলের মানুষের জীবনে প্রতিদিনই নানা দুর্ভোগ থাকে বিশেষ করে চিকিৎসাসেবার ক্ষেত্রে। তাই বিএনপির ঘোষিত ৩১ দফা রাষ্ট্রীয় সংস্কার কাঠামোর অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে সবার জন্য মানসম্মত ও সুলভ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা। সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কাছে সেবা পৌঁছে দেওয়া আমাদের রাজনৈতিক নীতির অংশ। সেই দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই চরাঞ্চলে এসব জনকল্যাণমূলক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, কুড়িগ্রাম-২ আসনের মানুষ যদি আমাকে তাদের সেবা করার সুযোগ দেন, তবে স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। প্রতিটি ইউনিয়নে নিয়মিত স্বাস্থ্যশিবির, উন্নত চিকিৎসাসেবা, মাতৃস্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং চরাঞ্চলে সহজে পৌঁছানো যায় এমন মোবাইল মেডিকেল ইউনিট চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অবকাঠামোগত উন্নয়নকে কেন্দ্র করেই আগামী দিনের কুড়িগ্রামকে আরও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে চাই।
চিকিৎসাসেবা নিতে আসা আব্দুর রহমান, আমিনুর, আলেয়া বেগম, কাজলী রানীসহ চরবাসীরা জানান, দূরবর্তী এলাকায় চিকিৎসা পাওয়া তাদের জন্য কষ্টসাধ্য। বিনামূল্যে ওষুধসহ অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ তাদের অনেক উপকারে এসেছে। তারা এমন উদ্যোগ নিয়মিত করার আহ্বান জানান।