কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের খুটামারা সীমান্ত (সোনাহাট স্থলবন্দরের পাশে) দিয়ে বাংলাদেশে পুশইনের সময় ১১জন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। শুক্রবার ১৭ অক্টোবর সকাল ৬টার দিকে তাদের আটক করে থানায় সোপর্দ করা হয়। ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) আল হেলাল মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আটককৃতরা হলেন, মায়ানমারের নাগরিক রফিউলের রবিউল আলম (২০), ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী আমনা বগম(২৮), পুত্র আজিজ (১৫), মাহাম্মদ আবু (৭), কন্যা শাফা (৬), রিফা (৯), নুর আলমর স্ত্রী রজিয়া (২১), কন্যা নুর শাহিদা (২)। মত আলতাফ হাসানের পুত্র ইমাম হাসন (৪৮), আব্দুল মালকর পুত্র শফিউল্লাহ (১৮), মাহাম্মদ আলমের পুত্র মােহাম্মদ নবী হাসান (১৫)। আটকের সময় তারা কক্সবাজারের কলাতলী গ্রামের বাসিদা জানালেও জিজ্ঞাসাবাদে তারা মায়ানমারের নাগরিক বলে স্বীকার করেন।
বিজিবি, পুলিশ, ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের খুটামারা সীমান্তের আন্তর্জাতিক সীমান্ত রেখা ১০১১ পিলার ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়। পরে তারা সোনাহাট স্থলবন্দর-কচাকাটাগামী রাস্তার মধ্যে সোনাহাট আমতলী এলাকায় ঘোরাঘুরি করতে থাকেন। এ সময় সোনাহাট বিজিবি ক্যাম্পের টহল দল তাদের আটক করে। আটককৃতরা জানান, এক বছর পূর্বে কাজের সন্ধানে কুমিল্লা সীমান্ত দিয়ে ভারতের আসাম রাজ্যে অবৈধভাবে যান তারা।
ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) আল হেলাল মাহমুদ মায়ানমার নাগরিকদের আটকের বিষয় নিশ্চিত করে বলেন, তাদের প্রকৃত তথ্য যাচাই বাছাই চলছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কুড়িগ্রাম-২২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহবুব উল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আটককৃতদের ভূরুঙ্গামারী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আটককৃত নাগরিকদের বিস্তারিত ঠিকানা নিশ্চিত করতে গেলে তারা জানায় যে তারা রোহিঙ্গা নাগরিক (মায়ানমার নাগরিক)। বর্ণিত নাগরিকদের পরবর্তী আইনী ও প্রশাসনিক কার্যক্রম চলমান রয়েছে।