কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারী দবির উদ্দিনের সেচ্ছাচারিতায় অতিষ্ঠ সাধারণ শিক্ষকরা।

শাহীন আহমেদ, কুড়িগ্রাম।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারী দবির উদ্দিনের দুর্নীতি ও সেচ্চাচারিতায় অতিষ্ঠ সাধারণ শিক্ষক সমাজ। ঘুষ,দুর্নীতি ও ক্ষমতার দাপট যেন তার নিত্যদিনের সঙ্গী। তিনি কুড়িগ্রাম সদরের স্থানীয় ও আওয়ামীলীগ পন্থী হওয়ায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে গড়ে তুলেছেন নিজস্ব সিন্ডিকেট। এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ গত ২০/৯/২৪ তারিখে মহাপরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বরাবরে প্রেরন করেন একাধিক শিক্ষক।
অভিযোগ সুত্রে খোজ নিয়ে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারী মোঃ দবির উদ্দিন কুড়িগ্রাম সদরের স্থানীয় বাসিন্দা হওয়ায় দীর্ঘ প্রায় তিন দশক ধরে অত্যন্ত দাপটের সাথে কিছু আওয়ামী পন্থী শিক্ষক নেতার যোগ সাজসে চাকুরী, বদলী বানিজ্য,পেনশন বানিজ্যের সিন্ডিকেট গরে তোলেন। তার এহেন কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে বিভিন্ন সময়ে তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন শিক্ষকরা। এতে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেন শিক্ষা অফিসার। তদন্তে প্রমানিত হওয়ায় ততকালীন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এনামুল হক,ডিডি/প্রাই/রবিরং/১৭৪৯ নং স্বারকে দবির উদ্দিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানের প্রেক্ষিতে তাকে দুরতম কেন জেলায় বদলী করে বিভাগীয় মামলা রুজু পৃর্বক দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি প্রদান করার জন্য বিভাগীয় উপ-পরিচালক রংপুর বিভাগ,রংপুর কে সুপারিশ করেন। এরই প্রেক্ষিতে গত ১/৭/১৯ ইং তারিখে তাকে কুড়িগ্রাম জেলা থেকে লালমনিরহাট পিটিআই তে বদলী করেন। সেখানে কিছু দিন চাকুরী করে আবার তিনি সুকৌশলে কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে বদলী নিয়ে আসেন। এসে আবার তিনি শুরু করেন সাবেক কার্যক্রম। পড়ে আবার তার কার্যক্রমে অতিষ্ঠ হয়ে গত ২০/৯/২৪ ইং তারিখে একটি অভিযোগ মহাপরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, মিরপুরে গেলে,আবার তাকে গত ১২/১/২৫ ইং তারিখে কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে মাত্র ১০ গজ দুরে —-২৩১৫ নং স্বারকে কুড়িগ্রাম পিটিআই তে বদলী করেন মোঃ আজিজুর রহমান, উপ-পরিচালক রংপুর। বদলীর আদেশে উল্লেখ থাকে যে,তিনি আগামী ১৬/১/২৫ ইং তারিখের মধ্যে বদলীকৃত কর্মস্থলে যোগদান করবেন। অন্যথায় ১৯/১/২৫ ইং তারিখে তাৎক্ষণিক বিমুক্ত বলে গন্য হবেন। এই আদেশে মোঃ দবির উদ্দিন উক্ত কর্মস্থলে যোগদান না করে সরকারী আদেশ কে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে কৌশলে উপ-পরিচালক কে ম্যানেজ করে মাত্র ২৫ দিনের মাথায় ১২/১/২৫ ইং তারিখের জারিকৃত বদলীর আদেশ টি গত ৫/২/২৫ ইং তারিখে বাতিল করিয়ে বহাল তবিয়তে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে চাকুরী করে পুর্বের ন্যায় তার সকল অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে করে প্রাথমিক শিক্ষার মান, ও সাধারণ শিক্ষকদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন,বদলীর আদেশ অনুযায়ী আমি তাকে যথাসময়ে বিমুক্ত করে দিয়েছি। পড়ে কুড়িগ্রাম পিটিআই এর সুপারের সাথে কথা হলে তিনি জানান,বদলীর আদেশ হলেও তিনি পিটিআই তে যোগদান করেন নি। এ বিষয়ে উচ্চমান সহকারী দবির উদ্দিনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমার বদলি রহিত করার জন্য আবেদন করছি, এবং তা ২৫ দিনের মধ্যে মন্জুর হয়েছে। এই ২৫ দিন বদলীকৃত কর্মস্থলে যোগদান না করে কোথায় ছিলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেটা কর্তৃপক্ষের বিষয়।

আরো দেখুনঃ