কুড়িগ্রাম পৌরসভার সাবেক কমিশনার এবং যুবলীগ নেতা কামরুজ্জামান মিন্টুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে পৌরসভার ভকেশনাল মোড় এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ আসামীকে বুধবার দুপুরে কুড়িগ্রাম চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করলে বিজ্ঞ বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মজনু মিয়া তাকে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।কামরুজ্জামান মিন্টু পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তিন বার নির্বাচিত পৌর কমিশনার। তিনি ভকেশনাল মোড় সংলগ্ন প্রাণিসম্পদ হাসপাতাল পাড়ার বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরে তিনি জেলা যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তাকে তিনটি রাজনৈতিক মামলায় অজ্ঞাত আসামী হিসাবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
তিনি আরো জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনে গত ৪ আগস্ট কুড়িগ্রাম শহরের শাপলা চত্বর এলাকায় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হন আশিকুর রহমান নামে এক শিক্ষার্থী। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয় গত ১ সেপ্টেম্বর। এ ঘটনায় ১০ অক্টোবর রুহুল আমিন নামে এক শিক্ষার্থী বাদী হয়ে ১০৪ জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে আসামি করা হয়। জিআর মামলা নং-৩১৯/২৪।
একই দিন সংঘটিত হামলার ঘটনায় আহত হওয়ার দাবি করে জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নাদিম আহম্মেদ বাদী হয়ে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ৩৪ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে সদর থানায় মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ২০০–৩০০ জনকে আসামি করে। কুড়িগ্রাম সদর থানায় জিআর নং-৩১৭/২৪ মামলাটি রেকর্ড করা হয় গত ৯ অক্টোবর।
একইদিনের ঘটনা উল্লেখ করে জেলা যুবদলের সদস্য আবু তাহের মেছবা বাদি হয়ে ছাত্র আন্দোলনে হামলা করার অভিযোগ এনে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্র লীগের ৮৫জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১০০-১৫০ জনকে আসামি করে কুড়িগ্রাম সদর থানায় জিআর-৩০০/২৪ নং মামলা দায়ের করে গত ১৩ সেপ্টেম্বর।
তবে সাবেক কমিশনার মিন্টু এই তিন মামলার কোনটিতেই এজাহারভুক্ত আসামি নন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে ওসি নাজমুল আলম বলেন, ‘এজাহারে নাম না থাকলেও মামলার প্রাথমিক অনুসন্ধানে কামরুজ্জামান মিন্টুর নাম পাওয়া গেছে। এ জন্য তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
একে/অননিউজ24