কুড়িগ্রাম ২ আসনে জামায়াতের প্রার্থী এডভোকেট ইয়াসিন আলী সরকারের গণ সংযোগ অব্যাহত।
শাহীন আহমেদ, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

আগামী ত্রোয়দশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম ২ আসন থেকে জামায়াতের মনোনীত প্রার্থী এডভোকেট মোঃ ইয়াসিন আলী সরকার তার নির্বাচনী কার্যক্রম খুব জোরে সোরে চালিয়ে যাচ্ছে। ২৬ কুড়িগ্রাম ২ আসনটি কুড়িগ্রাম সদর রাজারহাট ও ফুলবাড়ী উপজেলা নিয়ে গঠিত। নির্বাচনে জয় লাভ করার আশা নিয়ে তিনি দিনরাত চসে বেড়াচ্ছেন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি। এতে তিনি ব্যাপক ছাড়াও পাচ্ছেন বলে জানা গেছে। এডভোকেট মোঃ ইয়াসিন আলী সরকার ১৯৬৯ সালে এক সম্ভান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কুড়িগ্রাম পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের কলেজপাড়ার স্থায়ী বাসিন্দা। ১৯৭৫ সালে তিনি এসএসসি,১৯৭৭ সালে এইচএসসি, ১৯৭৯ সালে স্নাতক, ১৯৮১ সালে কৃষি ডিপ্লোমা এবং ১৯৮৫ সালে এলএলবি ডিগ্রী অর্জন করেন।
শিক্ষাজীবন শেষে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত তিনি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে কর্মরত ছিলেন। এরপর ১৯৮৭ সাল থেকে অদ্যবধি তিনি সুনামের সাথে আইন পেশায় নিয়োজিত আছেন। রাজনৈতিক জীবনে তিনি দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের প্রতিষ্ঠালগ্ন ১৯৭৭ সালে ছাত্র শিবিরে যোগদান করেন। ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান করে বিভিন্ন পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে বর্তমানে কুড়িগ্রাম জেলা জামায়াতের মজলিসে শুরা ও কর্ম পরিষদ সদস্য। পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশের শ্রমিক আন্দোলনের অন্যতম সংগঠন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য ও কুড়িগ্রাম জেলার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এছাড়াও তিনি একটি মাদ্রাসা ও এতিমখানার সভাপতি, কুড়িগ্রাম সদর,রাজারহাট ও ফুলবাড়ী উন্নয়ন ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। কুড়িগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
তিনি সাধারণ ভোটারদের মাঝে তার ভিশন সম্পর্কে বলেন, নির্বাচনে জয়লাভ করলে তিনি সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতি চাঁদাবাজি রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক প্রশাসন গড়ে তুলবেন।বেকার যুবক যুবতীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শিল্প কারখানা তৈরি, পূর্ণাঙ্গ অর্থনৈতিক জোন চালু, বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নদী ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ, চরাঞ্চলের শিক্ষা স্বাস্থ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, কৃষিবিশ্ববিদ্যালয় কে আধুনিকায়ন, কুড়িগ্রাম সদরে একটি পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করন, আন্তঃজেলার যোগাযোগ উন্নয়নসহ কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেসের পাশাপাশি আরো একটি আন্তঃনগর ট্রেন সার্ভিস চালু করা, কুড়িগ্রাম কে মাদকমুক্ত করা সহ সামাজিক ও ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষা, মসজিদ মন্দির সহ সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ের উন্নয়ন নিশ্চিত করে কুড়িগ্রাম কে এগিয়ে নিয়ে যাবার প্রত্যায় ব্যাক্ত করেন।
jn