কুমিল্লার চৌয়ারায় যুবলীগকর্মী জিল্লুর রহমান চৌধুরী ওরফে গোলাম জিলানী এলোপাতারি কুপিয়ে হত্যার মামলায় অভিযোগপত্র দিয়েছে পিবিআই। হত্যাকাণ্ডের দুই বছরের বেশি সময় পর দায়ের করা ওই অভিযোগপত্রে খুনের পরিকল্পনাকারী হিসেবে নগরীর ২৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো.আবুল হাসানসহ ১০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। আবুল হাসান ২৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতির পদে রয়েছেন।
পিবিআই কুমিল্লার পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে অভিযোগপত্রের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক বিপুল চন্দ্র দেবনাথ বিস্তারিত বলতে পারবেন বলে জানান।
২০২০ সালের ১১ নভেম্বর সকালে নগরীর চৌয়ারা এলাকায় যুবলীগকর্মী জিল্লুর রহমান চৌধুরীকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরদিন তার ভাই ইমরান হোসেন চৌধুরী কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় ২৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১০/১৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলাটি প্রথমে তদন্ত করে থানা পুলিশ। ২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, ঘটনার আগেরদিন রাতে কাউন্সিলর হাসানের বাড়িতে খুনের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সেই বৈঠকে পরিকল্পনাকারী ছাড়া বাকি ৯ জনই উপস্থিত ছিলেন। নগরীর চৌয়ারা গরু বাজার নিয়ন্ত্রণ ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ছিল খুনের কারণ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক বিপুল চন্দ্র দেবনাথ জানান, মামলার এজাহার-বহির্ভূত আসামি আরমান হোসেনকে গত বছরের ১৩ সেপ্টম্বর কুমিল্লা নগরীর চৌয়ারা বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন কুমিল্লার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন আরমান। খুনের সময় পাহারাদারের দায়িত্ব পালন করেছিলেন আরমান। আর বাকিরা খুনে অংশ নেন। হাসানের বাড়িতে বৈঠক ও তার পরিকল্পনায় খুনের কথা আরমান জবানবন্দিতে বলেছেন। অভিযোগপত্রে নাম আসা অপর আসামিরা হলেন মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মেহেদী হাসান, নাছিম, মারুফ হোসেন, ইমরান হোসেন, তুষার, সাইফুল ইসলাম, মাবুল হোসেন এবং এজাহার-বহির্ভূত এমদাদ হোসেন।