কুমিল্লায় থার্টি ফাস্ট নাইট উদযাপন নিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের দুইগ্রুপের সংঘর্ষে ফয়সাল ইসলাম হৃদয় নামে একজনের মৃত্যু হয় এসময় আহত হয় আরোও কয়েকজন। শনিবার রাত দেড়টার দিকে নগরীর দক্ষিণ চর্থা বড় পুকুরপাড় এলাকায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহত ফয়সাল ওই এলাকার চা দোকানী বাবুল মিয়ার ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আহমেদ সানজুর মোর্শেদ। তিনি বলেন, নিহতের মরদেহ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
স্থানীয়রা জানায়, বিশ্বকাপ ফাইনালে আর্জেন্টিনা জয়ী হলে আনন্দ মিছিল করার সময় স্থানীয় কিশোরদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এই ঘটনায় মনির গ্রুপের হামলায় কিশোর হৃদয় আহত হয় এর ১২ দিন পরই গতকাল গভীর রাতে আবারো তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হলে এতে হৃদয়কে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এসময় হৃদয়কে উদ্ধার করতে গেলে আহত হয় আরোও কয়েকজন।
হৃদয়ের বাবা বাবুল মিয়া জানায়, বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলা নিয়ে আগেও মনির গ্রুপের সাথে হৃদয় ও তার বন্ধুদের দ্বন্দ চলছিলো যা স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিদের মাধ্যমে সুরাহা করার চেষ্টা চলছিলো। এর মাঝেই শনিবার রাত দেড়টায় হৃদয়সহ তারা বন্ধুরা নিউ ইয়ার উদযাপনে বাড়ির পাশে পিকনিক করছিলো। তখন হৃদয়কে খবর দিয়ে নিয়ে যায় কয়েকজন যুবক। সেখানে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
পরে স্থানীয়রা আহত হৃদয়কে কুমিল্লা ম্যাডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার সকালে হৃদয়ের লাশ বাড়িতে আনা হলে এলাকায় শোকের মাতম সৃষ্টি হয়। এসময় স্বজনদের আহাজারিতে পরিবেশ ভারি হয়ে উঠে।
কান্নাজড়িত কন্ঠে নিহতের শোকার্ত মা জানায়, তার ছেলেকে এর আগেও ছুরি দিয়ে আঘাত করে মনির এতে হৃদয়ের পায়ে সেলাই লাগে। সেই ঘটনা যেতে না যেতেই শনিবার রাতে ডেকে নিয়ে তার ছেলেকে হত্যা করে মনির ও তার লোকেরা। যারা আমার বুকের কেড়ে নিয়েছে তাদের ফাসিঁ চাই।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি রাজিউর রহমান রাজিব বলেন, বর্তমান সময়ে এলাকায় কিশোর গ্যাংদের দৌরাত্ম বেড়েছে এটা নিয়ে আমরা অভিভাবদের মাঝে সচেতনতা মূলক পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে বার বার কথা বলেছি। এই ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আইনি প্রক্রিয়ায় বিচার কার্য হবে।