কুমিল্লায় ধর্ষণচেষ্টায় ব্যর্থ হয়েই কুবি শিক্ষার্থী ও তার মাকে হত্যা, মূল আসামি মোবারককে গ্রেপ্তার

নেকবর হোসেন কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আফরিন ও তাঁর মা তাহমিনা বেগম হত্যার মূল আসামি মো. মোবারক হোসেনকে (২৯) গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকায় পালিয়ে যাওয়ার সময় কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁও এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ২টায় কুমিল্লা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তার মোবারক হোসেন জেলার দেবিদ্বার উপজেলার কাবিলপুর গ্রামের মৃত আবদুল জলিলের ছেলে।

এসপি মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন বলেন, ‘ঝাড়ফুঁক করার সুবাদে মোবারক হোসেন সুমাইয়া আফরিনদের বাসায় যাতায়াত করতেন। গত রোববার সকাল সাড়ে ৮টায় নগরীর কালিয়াজুরি এলাকায় নেলি কটেজ নামক বাসায় প্রবেশ করেন মোবারক। এরই মধ্যে মোবারক তাদের বাসায় ঝাড়ফুঁক করে পানি ছিটিয়ে বের হয়ে যায়। আবার বেলা সাড়ে ১১টায় ওই বাড়িতে প্রবেশ করে, যা সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা যায়।’
এসপি বলেন, ‘মোবারক তাদের বাসায় থাকাকালীন একপর্যায়ে সুমাইয়া আফরিনকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় তার মা বাধা দেন। এতে মোবারক ক্ষুব্ধ হয়ে সুমাইয়াকে এক ঘরে আটকে রেখে মা তাহমিনা বেগমকে অন্য একটি রুমে নিয়ে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে। এরপর সুমাইয়াকে তার রুমে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় সুমাইয়া প্রতিরোধ করলে তাকে গলা টিপে হত্যা করা হয়। হত্যার পর মোবারক সুমাইয়াদের ঘর থেকে চারটি মোবাইল ফোন ও একটি ল্যাপটপ নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।’ৎ
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, র‍্যাব ও পুলিশ পৃথক দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখে মোবারককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ

jn

আরো দেখুনঃ