কুমিল্লায় বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। “নিরাপদ জ্বালানি, ভোক্তাবান্ধব পৃথিবী” প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শিউলি রহমান তিন্নীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শামীম আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপারের প্রতিনিধি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) কাজী মো: মতিউল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোশারেফ হোসেন ও ক্যাব কুমিল্লা জেলার সাধারণ সম্পাদক কাজী মাসউদ আলম।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য ও মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো: আছাদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আতিক উল্যাহ খোকন, সিনিয়র কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকারিয়া, অতিরিক্ত প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, বিসিকের ডিজিএম মুনতাসীর মামুন, রেস্তোরা মালিক সমিতির এম এ তাহের, চকবাজার পাইকারি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলী আশ্রাফ, ইটভাটা মালিক সমিতির আ: মতিন, এলপিজি গ্যাস ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনি মুক্তা পাল, রাজগঞ্জ বাজারের সভাপতি তোফাজ্জেল হোসেন, রানীর বাজার সমিতির সভাপতি আবুল হাশেম প্রমুখ।
ব্যবসায়ীরা আসন্ন রমজানে কোন পণ্যের সঙ্কট নেই বলে আস্বস্ত করেন। ছোলাসহ নিত্যপণ্যের আট থেকে দশটি পণ্যের দাম নিম্নমুখী বলে সভাকে অবহিত করেন।
প্রধান অতিথি সভায় উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানান এবং আসন্ন রমজানে পণ্যের সরবরাহে কোন ঘাটতি হবে না বলে নিশ্চয়তা প্রদান করেন। আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে বাজার মনিটরিং জোরদার করা হবে উল্লেখ করে তিনি সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান। তিনি জানান, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর প্রয়োগ ক্ষেত্র ব্যাপক। নিজেদের কল্যাণের স্বার্থে যুগান্তকারী আইনটি বাস্তবায়নে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন সরকারি দপ্তর প্রধান, ক্যাব কুমিল্লার নেতৃবৃন্দ , হোটেল রেস্তোরা মালিক সমিতি, দোকান মালিক সমিতি, এলপিজি গ্যাস ব্যবসায়ী সমিতি, ফিলিং স্টেশন মালিক সমিতি, ইটভাটা মালিক সমিতি, বিভিন্ন বাজার ব্যবসায়ী সমিতি, যুব ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সদস্যবৃন্দ, এনজিও প্রতিনিধি, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও ভোক্তা সাধারণ সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।