কুমিল্লায় মহাসড়কে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ৪ ডাকাত গ্রেফতার; অস্ত্রসহ মালামাল উদ্ধার
নেকবর হোসেন কুমিল্লা প্রতিনিধি।।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি একজন কুয়েত প্রবাসীর গাড়ীতে এবং ১ মার্চ একই স্থানে একই কৌশলে একজন মালয়েশিয়া প্রবাসীর গাড়ীতে ডাকাতির ঘটনায় আন্ত জেলা ডাকাত দলের সক্রিয় ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ। এসময় লুট করা টাকা, মালামালসহ বেশ কিছু দেশিয় অস্ত্র ও ডাকারিত সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে পুলিশ।
বুধবার দুপুর সাড়ে বারোটায় কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. নাজির আহমদ খাঁন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন চাঁদপুর কচুয়া উপজেলা মনপুরা গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে আব্দুল হান্নান (৩৫), লক্ষ্মীপুর রায়পুর উপজেলা চরমোহনা গ্রামের সিরাজ মোল্লা ছেলে শরীফ হোসেন (৪৫), কুমিল্লা চান্দিনা, নূরপুর গ্রামের তাজুল ইসলাম ছেলে আলাউদ্দিন, চান্দিনা উপজেলা জোরপুকুরিয়া গ্রামের হাজী রমিজ উদ্দিন ছেলে নজরুল ইসলাম (৬০) ।
এ সময় উদ্ধার করা হয় একটি পিকআপ, দুটি স্টিলের কিরিচ, দুটি রামদা, একটি চাইনিজ কুড়াল, একটি দেশীয় কুড়াল, একটি লোহার শাবল, একটি লোহার রড, একটি মোটা রশি। এছাড়াও ১৬ কুয়েতি দিনার, ৮০ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত , ৩ হাজার পাঁচশত টাকা এবং ১টি বিদেশি কম্বল উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি একজন কুয়েত প্রবাসী, ১ মার্চ একজন মালয়েশিয়া প্রবাসীর গাড়িতে চৌদ্দগ্রাম থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে ডাকাতি হয়েছিল। কুমিল্লা পুলিশ ও ডিবির সার্বিক সহায়তায় একটি চৌকশ টিম গঠন পূর্বক ঘটনাসমূহের ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনায় দেখা যায়, তিনটি ঘটনায় একই পিকআপ ব্যবহৃত হয়েছে। এমনকি ঘটনার সাথে জড়িত ডাকাতরা একই দলের সদস্য। পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে চৌদ্দগ্রাম থানার একটি চৌকস দল আন্তঃজেলা ডাকাত দলের চারজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ ঘটনায় কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম থানার মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মো. নাজির আহমদ খাঁন। তিনি বলেন, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী ও চট্টগ্রাম জেলার ২০/২৫ জন ডাকাত মূলত ৩টি গ্রুপে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কায়দায় মহাসড়কে ডাকাতি কার্যক্রম পরিচালনা করে। তারা বিমানবন্দর থেকে বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে প্রবাসীদের গাড়ির তথ্য পায়। মেঘনা টোল প্লাজা থেকে গাড়ির পিছু নেয় তারা। এরপর নির্জন স্থানে তাদের ব্যবহৃদ পিকআপ দিয়ে প্রবাসীর গাড়িটিকে ব্যারিকেড দেয়। প্রবাসীকে অস্ত্র ঠেকিয়ে সর্বস্ব ছিনিয়ে নেয়।