সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে কুমিল্লা সেনানিবাসে একটি মনোমুগ্ধকর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এছাড়া কেক কেটে দিনটি উদযাপন করা হয়।
সোমবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে এ দিবস উপলক্ষে কুমিল্লা সেনানিবাসে নানা আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে ৯৪০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে আগত মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল গণ্যমান্য অতিথিদেরকে অভ্যর্থনা জানান ৩৩ পদাতিক ডিভিশন ও এরিয়া কমান্ডার জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) মেজর জেনারেল মোঃ মাইনুর রহমান, এসইউপি, এডব্লিউসি, পিএসসি।
এরপর প্রধান অতিথি মেজর জেনারেল মোঃ মাইনুর রহমান উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে প্রদত্ত তাঁর স্বাগত ভাষণের শুরুতেই স্মরণ করেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে এবং শ্রদ্ধা জানান অগণিত বীর শহিদদের ও সাহসী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যাদের আত্মত্যাগে অর্জিত হয়েছে কাঙ্খিত স্বাধীনতা। বিশেষ করে তিনি মুক্তিযুদ্ধে কুমিল্লা অঞ্চলের অসীম সাহসিকতা, সহযোগিতা এবং বীরত্বপূর্ণ অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করে অনুষ্ঠানে উপস্থিত কুমিল্লা অঞ্চলের বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল বীর শহিদদের প্রতি জানান বিনম্র শ্রদ্ধা।
প্রধান অতিথি তার ভাষণে বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী জাতীয় পর্যায়ে যে কোন দুর্যোগ মোকাবেলা, অবকাঠামো নির্মাণ, আর্তমানবতার সেবা, পাবর্ত্য চট্টগ্রামে সন্ত্রাস দমন, জঙ্গী দমন, বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা এবং বিভিন্ন দেশগঠনমুলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে দেশের সার্বিক উন্নয়নে অবদান রাখছে। এছাড়াও জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে।
তিনি আরো বলেন যে, আধুনিকায়ন, সম্প্রসারণ ও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে আধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ সামরিক সরঞ্জাম দিয়ে সশস্ত্র বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করতে বর্তমান সরকার সবসময় আন্তরিক রয়েছেন।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি, সাংসদ রাজী মো: ফখরুল, সাংসদ ডা. প্রাণ গোপাল, সাংসদ এড. আবুল হাশেম খান, সংরক্ষিত সাংসদ আনজুম সুলতানা সীমা, অ্যারোমা দত্তসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।