কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের পত্রিকা বিক্রেতা জসিম উদ্দিনের (৪৫) স্ত্রী’র ইজ্জত রক্ষার চেষ্টায় প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় রবিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে স্ত্রী, সন্তান ও লোকজনের সামনে কিল-ঘুষি মেরে প্রকাশ্যে জসিমকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে নাঙ্গলকোট পৌরসভার কেন্দ্রা গ্রামের আবুল কালাম সওদাগর নামে এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় নাঙ্গলকোট থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান নিহতের স্ত্রী মাহমুদা বেগম। জসিম কেন্দ্রা গ্রামের মৃত আবু তাহেরের ছেলে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পৌর সদরের কেন্দ্রা গ্রামের মৃত আবু তাহেরের ছেলে পত্রিকা বিক্রেতা জসিম উদ্দিন প্রতিদিনের ন্যায় পত্রিকা বিক্রি করে বাড়ীতে গিয়ে খাবার শেষে আছরের নামাজ পড়তে কেন্দ্রা দিঘির পাড় মসজিদে যায়। নামাজ শেষে জসিম কেন্দ্রা দোকানের সামনে আসলে সেখানে একই গ্রামের আবুল কালাম সওদাগরের সাথে দেখা হলে শনিবার দিবাগত গভীর রাতে জসিমের বাড়ীতে গিয়ে তার স্ত্রীকে কেন ডেকেছে এবং কেন সবসময় তার স্ত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাব দেয় এ বিষয়ে জানতে চাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রভাবশালী কালাম সওদাগর তাকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মারতে থাকে। এসময় জসিম প্রাণ ভয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলে তাকে আবার মারধর করলে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ করেন স্ত্রী মাহমুদা বেগম। পরে স্থানীয়রা জসিম উদ্দিন জীবিত আছে ভেবে তাকে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত জসিমের স্ত্রী মাহমুদা বেগম বলেন, কালাম সওদাগর আমাকে সবসময় তার সাথে অনৈতিক কাজের প্রস্তাব দিতো এবং টাকার লোভ দেখাতো। আমি তাকে আমার স্বামী আছে বললেও সে অনেক সময় রাতে আমাদের বাড়িতে গিয়ে আমাকে ধর্ষণের চেষ্টা করতো।
শনিবার গভীর রাতে কালাম সওদাগর আমাদের বাড়িতে গিয়ে টচ লাইট মারলে আমার স্বামীর ঘুম ভেঙ্গে যায়। এসময় আমার স্বামী কালাম সওদাগরকে ধরার চেষ্টা করলে সে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে বিকেলে আমার স্বামী কালাম সওদাগরের নিকট জানতে চাইলে সে আমার স্বামীকে আমি ও আমার ছেলে’সহ দোকানে উপস্থিত লোকজনের সামনে কিল ঘুষি মেরে হত্যা করে। আমি কালাম সওদাগরের ফাঁসি চাই। এ ব্যাপারে নাঙ্গলকোট থানা অফিসার ইনচার্জ ফারুক হোসেনের মোবাইলে ফোন দিয়ে না পাওয়ায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।