কুমিল্লায় ভুয়া পরিচয় দিয়ে ২২ বছর কারারক্ষী থাকার পর এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ব্রাহ্মণপাড়া বাজার এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় তিন সেট কারারক্ষী ইউনিফর্ম, একটি কারারক্ষী জ্যাকেট, এক সেট কারারক্ষী রেইনকোট, ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্রসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথি-পত্রাদি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার মো. তাজুল ইসলাম ব্রাহ্মণপাড়া দক্ষিণ শশীদল এলাকার বাসিন্দা।
র্যাব-১১ কুমিল্লার কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাকিব হোসেন শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। তিনি জানান, হবিগঞ্জের মাধবপুর থানার শাহজাহানপুর গ্রামের মো. মঈন উদ্দিন খান ২০০১ সালে কারারক্ষী পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজির হয়ে শারীরিক ফিটনেস, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা দেন। পরীক্ষায় উত্তীর্ণও হন।
নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রত্যেকের স্থায়ী ঠিকানায় নিয়োগপত্র পরবর্তীতে ডাকযোগে পাঠানো হবে। একই নিয়োগ দেখে পরীক্ষা দেয় কুমিল্লার তাজুল ইসলাম, তবে তিনি অকৃতকার্য হন। পরে কৃতকার্য মঈনের পরিচয়, নাম, ঠিকানা ও অন্যান্য সব কাগজপত্র নকল করে চাকরি নেন তাজুল।
২০২০ সালের শেষ দিকে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক প্রিন্ট মিডিয়ার মাধ্যমে সিলেট বিভাগে প্রায় ২০০ জন কারারক্ষী সিলেটের স্থায়ী বাসিন্দা না হয়েও প্রায় ২০/২২ বছর যাবত চাকরি করে আসছে বলে সংবাদে প্রকাশিত হয়। এরপরই মঈনের ঘটনাটি সামনে আসে।
পরে মঈন এটি নিয়ে আদালতে মামলা করে। মামলার পর তাজুল ইসলাম তাকে ১০ লাখ টাকা দেয়ার প্রস্তাব দেয়। এতে মঈন রাজি না হলে তাজুল আত্মগোপনে চলে যান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভুয়া মইনকে খুঁজতে থাকে। এর মধ্যেই তিনি লাপাত্তা হয়ে যাওয়ায় র্যাবের সহায়তা চান ওই কর্মকর্তা। দীর্ঘদিন অনুসন্ধান করে তার পরিচয় শনাক্ত করে র্যাব। পরে বৃহস্পতিবার তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব কর্মকর্তা সাকিব হোসেন জানান, গ্রেপ্তারকে মামলার তদন্ত পরিচালনাকারী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন।