কুমিল্লার চান্দিনায় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া আয়োজিত মাহফিলে অংশগ্রহণ এবং উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে পুলিশের মামলায় হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক ও হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবীকে কুমিল্লায় আনা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শাহজাহান আহমেদ। তিনি জানান, গত শুক্রবার মামুনুল হককে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারের আনা হয়েছে। রোবার তাকে কুমিল্লার আদালতে নেয়া হবে। সে বিষয়ে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। বেলা সাড়ে ১১ টায় আদালতে গিয়ে দেখা যায়, নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
কুমিল্লার কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার শাহজাহান আহমেদ বলেন, কুমিল্লার চান্দিনায় একটি মামলাসহ কুমিল্লায় করা একাধিক মামলার আসামী হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। কুমিল্লা আদালতে মামলার হাজিরা থাকায় গত শুক্রবার মাওলানা মামুনুল হক ও মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবীকে কুমিল্লার কারাগারে আনা হয়। আজকে একটি মামলায় দুইজনকেই আদালতে উঠানোর কথা রয়েছে। আমরা সকাল থেকে তাদেরকে প্রস্তুত করে রেখেছি। আদালত যখন চাইবে, তখনই তারেকে আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
কুমিল্লা আদালতের পিপি অড. জহিরুল ইসলাম সেলিম বলেন, হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকসহ দুইজনকে চান্দিনার একটি মামলায় আদালতে উঠানোর কথা রয়েছে। এদিকে আদালত চত্বরে মামুনিল হককে আনা হবে এমন ঘটনায় আদালতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
কুমিল্লা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( অপরাধ) এম তানভীর আহমেদ জানান, সকাল থেকেই আদালত পাড়ায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে জেলা পুলিশ বদ্ধ পরিকর।
দুপুর ১২ টায় মামুনুল হক ও খালেদ সাইফুল্লাহকে আদালতে আনা হয়।
কুমিল্লা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট বিচারক ইরফানুল হক আগামী ২৩ ডিসেম্বর আবার তাদেরকে আদালতে আনার দিন ধার্য্য করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভারপ্রাপ্ত পিপি নুরুল ইসলাম।
উল্লখ্য, ২০২০ সালের ১৫ ডিসেম্বর কুমিল্লার চান্দিনার জোয়াগ পশ্চিমপাড়া এলাকায় দুই দিনব্যাপী ইসলামী মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সে মাহফিলে অনুমতি না থাকায় আয়োজক ও অতিথিদের বিরুদ্ধে ১৭ ডিসেম্বর পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। মামলা নং ১৬। ওই মামলায় হেফাজতে ইসলামের নেতা মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবীসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়।
সাইফ/ অননিউজ২৪