কুমিল্লার তিতাসে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা হাজী নবী হোসেন (৬৪) কে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যার দায়ে আপন ভাতিজা আঃ আউয়ালকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত। মঙ্গলবার ২৭ ফেব্রুয়ারী দুপুরবেলা কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন রায় দেন।
দন্ডপ্রাপ্ত আসামি মোঃ আঃ আউয়াল হলেন- নিহতের ভাতিজা কুমিল্লার তিতাস উপজেলাধীন জগতপুর ইউনিয়নের কৈয়ারপাড় গ্রামের মৃত আঃ রব এর ছেলে।
মামলার বিবরণে জানাযায়- ২০২০ সালের ২৯ জানুয়ারি তিতাস থানার এক মামলায় আঃ আউয়ালকে তিতাস থানাপুলিশ গ্রেফতার করিলে আসামি আঃ আউয়াল সন্দেহ করেন যে, তার আপন চাচা ভিকটিম নবী হোসেন-ই তাকে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেন। এ সন্দেহের বশবতী হয়ে আঃ আউয়াল বিজ্ঞ আদালত হতে জামিনে এসে ২০২০ সালের ২৪ মে স্থানীয় বাজার হতে বাড়ীতে ফেরার পথে একা পাইয়া পূর্ব পরিকল্পিতভাবে নবী হোসেন (৬৪) কে ধারালো অস্ত্রদ্বারা কুপিয়ে ও গলা কেটে রক্তাক্ত জখম করে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভিকটিমকে উদ্ধার করে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ঐদিন-ই কুমিল্লা তিতাস উপজেলার কৈয়ারপাড় গ্রামের নিহত নবী হোসেন এর ছেলে রাসেল (২৬) বাদী হয়ে আপন জেঠাতো ভাই আঃ আউয়ালসহ অজ্ঞাতনামা ০২ জনকে আসামি করে তিতাস থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করিলে তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম ঘটনার তদন্তপূর্বক আসামি আঃ আউয়াল এর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ২০২০ সালের ১৫ জুলাই বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তৎপর মামলাটি বিচারে আসিলে ২০২২ সালের ২১ আগস্ট আসামি নবী হোসেন এর বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় অভিযোগ গঠন করে রাষ্ট্রপক্ষে ১১জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে যুক্তিতর্ক শুনানি অন্তে আসামি নবী হোসেন এর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন বিজ্ঞ আদালত।
এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষে বিজ্ঞ কৌশলী অতিরিক্ত পিপি এডভোকেট মোঃ মজিবুর রহমান বাহার বলেন- রাষ্ট্রপক্ষ এবং অভিযোগকারী আমরা আশা করছি মহামান্য হাইকোর্ট এ রায় বহাল রেখে শীঘ্রই রায় কার্যকর করে আসামির ফাঁসি নিশ্চিত করবেন।
এফআর/অননিউজ