কুমিল্লা নগরীর রাজগঞ্জ বাজারের পাশে দারোগা বাড়ি এলাকা। সেখানে রয়েছে বড় আকারের একটি পুকুর। পুকুরের পশ্চিম পাড়ে মসজিদ ও মাজার অবস্থা । পুকুরের ঘাটলায় রয়েছে অজুর ব্যবস্থা। এটি কুমিল্লার ঐতিহাসিক দৃষ্টিনন্দন প্রাচীনতম স্থাপনা।
ইতিহাসবিদের তথ্যমতে,ভারতীয় কানপুরের মুসলিম সুফী শাহ আবদুল্লাহ গাজীপুরী (রা.) সেই কুমিল্লা হয়ে মিয়ানমার যাওয়ার পথে এখানে বিশ্রাম নিতেন। এক সময় শাহ আবদুল্লাহ গাজীপুরী (রা.) ইসলাম প্রচারের জন্য এখানে থেকে যান। মৃত্যুর পর এখানে তাকে দাফন করা হয়। মসজিদের দানবাক্সে মানুষ প্রতি মাসে লাখ টাকা দান করেন। মসজিদটি পরিচালনাসভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন একজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সাবিক)।
মসজিদের খতিব মাওলানা ইয়াছিন নুরী বলেন, বছরের মাঘমাসে পহেলা জুমা ওরস হয় এখানে । এই মসজিদ দেখতে দূর থেকে মানুষ আসেন। ২ হাজার উপরে মুসল্লি এখানে একসঙ্গে নামাজ পড়তে পারেন। বিভিন্ন দিবসে এখানে হাজার-হাজার মানুষ আসেন। মসজিদে মুসল্লিদের জায়গা হয় না। মসজিদটি বড় করা প্রয়োজন। আমরা জেলা প্রশাসক কে বিষয়টি বার বার অবগত করছি।
এ বিষয় কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, মসজিদটি সম্প্রসারণের জন্য আমরা কাজ করছি। নতুন জেলা প্রশাসক এসেছেন,আশা করি কাজ শুরু করতে পারবো।