কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার শাকপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যানের ছেলে বিয়ের অনুষ্ঠানের দিন বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করেছে মাদক চুরিসহ একাধিক মামলার অসামী সন্ত্রাসী বাচ্চু ও তার সহযোগিরা। শুক্রবার সন্ধায় এ ঘটনা ঘটে। শনিবার বাচ্চু বাহিনী ওই পরিবারের লোকজনদের বাড়ির বাহিরে বের হতে না দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। চাঁদাদাবী ও জমি সক্রান্ত বিরোধ নিয়ে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।
স্থানীয়রা জানায়, শুক্রবার বরুড়ার শাকপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মমতাজ উদ্দিন এর ছেলে আমীর হামজার বিয়ের অনুষ্ঠান ছিলো। বিকালে সাবেক চেয়ারম্যানের বড় ছেলে ওমর ফারুককে বাড়ির গেইটে পেয়ে সন্ত্রাসী বাচ্চু গুলি করে হত্যার হুমকি দিয়ে মারধর করে। পরে ওমর ফারুক এ ঘটনা বরুড়া থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনা স্থল পরিদর্শন করে যায়। পুলিশ চলে যাওয়ার পর বাচ্চু মিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে সন্ধায় তার বাহিনী নিয়ে এসে সাবেক চেয়ারম্যান মমতাজ উদ্দিনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করে।
এসময় বাচ্চু মিয়া এ বাড়ির বিদ্যুতিক সংযোগ কেটে দেয়। খবর পেয়ে পূনরায় পুলিশ আসলে তারা পালিয়ে যায়। পরের দিন ১৬ জুন শনিবার সকাল থেকে বাচ্চু ও তার বাহিনী দিয়ে সাবেক চেয়ারম্যান মমতাজ উদ্দিনের বাড়ি ঘেরাও করে বাড়ি থেকে কাউকে বের হতে দেয়নি। এ ঘটনা পুলিশকে জানালে দুপুরে আবারো পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে বাচ্চু বাহিনী সেখান থেকে সরে যায়। স্থানীয়রা জানান, বাচ্চুর অত্যাচারে অতিষ্ট হলে স্থানীয় ব্যবসায়ী, গ্রাম পুলিশ ও জনপ্রতিনিধিরা ধরে বেধেঁ রেখেছিলো। পরে এসব অপকর্ম আর করবেনা বলে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পায়।
সাবেক চেয়ারম্যান মমতাজ উদ্দিন জানান, সড়কের পাশে আমার একটি জমি দখলে নিতে চায় বাচ্চু নয়তো তাকে মোটা অংকের টাকা দিতে হবে। এ ঘটনায় আগে আমার উপর হামলা করে আমার মাথা ফাটিয়ে দেয় বাচ্চু। আমি তখন মামলা করেছিলাম। তাকে ওই জমিটি না দিলে আমাকে প্রতিনিয়ত হামলা ও এলাকা ছাড়ার হুমকি দামকি দিয়ে যাচ্ছে। তার বিরুদ্ধে অন্যার জমি দখল, চাঁদাবাজি, মাদক চুরিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। বাচ্চু নিজেকে যুবলীগ নেতা দাবী করে পুরো শাকপুরে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে। বাচ্চুর অপকর্মের কেউ প্রতিবাদ করলে তার উপর চালানো হয় নির্যাতন। বাচ্চুর অত্যাচারে পুরো শাকপুরবাসী অসহায়। সঠিক তদন্ত করে বাচ্চুর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ বিষয়ে বরুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার মজুমদার জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে যায়। ভাংচুরের চিত্র ও তথ্য সংগ্রহ করে। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রধান সম্পাদক: হুমায়ুন কবির রনি
মোবাইল: ০১৭১৬-৫৩০৫১৪
ইমেইল: onnews24@gmail.com
www.onnews24.com