কুমিল্লার হোমনার আসাদপুর গ্রামে সাধারণ মানুষকে উত্তেজিত করে মব সৃষ্ট মাধ্যমে চারটি মাজারে হামলা, ভাংচুর ও কয়েকটি বাড়িতে লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এ পর্যন্ত চার জনকে আটক করা হয়েছে। হোমনা থানা পুলিশ সোমবার বেলা ১১টার দিকে আসাদপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে দুই ব্যক্তিকে আটক করেন। এর আগে রবিবার আরও দুই ব্যক্তিকে একই গ্রাম থেকে আটক করা হয়। মাজারে হামলার ঘটনায় আটকের সংখ্যা চারে দাঁড়িয়েছে।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) হোমনা থানার ওসি মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আটকের বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাবইন্সপেক্টর মীর হোসেন ইনকিলাবকে জানান, ঘটনার সময়ের ভিডিও ফুটেজ ছাড়াও তদন্তের আলোকে সোমবার বেলা ১১টার দিকে আসাদপুর গ্রাম থেকে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন- ওই গ্রামের মৃত সোলায়মান আহমেদের ছেলে মো. ইকরাম উল্লাহ (৪৫) ও মৃত ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে আবদুল লতিফ (৩৯)।
সোমবার দুপুরে হোমনা থানা পুলিশের দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আটক দুইজনকে আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
তদন্ত কর্মকর্তা জানান, মাজার ও বাড়িঘর ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গত রবিবার আসাদপুর গ্রামের বাজার থেকে ইব্রাহিম খলিল (২৪) ও শহীদ উল্লাহ (৩৩) নামের দুই জনকে আটকের পর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। ঘটনার ভিডিও ফুটে, ছবি ও তদন্তের আলোকে জড়িতদের আটকের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে গত বৃহস্পতিবারের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত বা ভুক্তভোগীদের কেউ মামলা না করায় হোমনা থানা পুলিশের পক্ষ থেকে সাব ইন্সপেক্টর তাপস কুমার সরকার বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয়ের দুই হাজারের বেশি লোককে আসামি করে মামলা করেন, এই মামলায় সোমবার পর্যন্ত মোট চারজন আটক হয়েছেন। মামলায় অজ্ঞাতনামীয় আসামি উল্লেখ থাকায় আসাদপুর ও আশপাশের গ্রামের বেশিরভাগ পরিবারের পুরুষ লোকজন গ্রেফতার আতঙ্কে বাড়িঘরে থাকছেন না। এদিকে হামলার শিকার মাজার সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলোর মাঝে এখনও আতঙ্ক বিরাজ করছে।
JN